একে মান্ধাতার আমলের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। তার উপরে বাছ-বিচার না করে বেআইনি ভাবে বসবাসকারীদেরও সংযোগ দিয়ে দেওয়া। এই দুইয়ের ফাঁসে লোডশেডিংয়ে জেরবার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের বাসিন্দাদের। সম্প্রতি ‘এমএএমসি টাউনশিপ আবাসিক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আধুনিক করা ও অবৈধ বসবাসকারীদের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করার দাবিতে বিদ্যুৎমন্ত্রী এবং এডিডিএ-কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ডিপিএলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
ওই আবাসিক সংগঠনের অভিযোগ, এমএএমসি টাউনশিপে লোডশেডিং দিন-দিন বাড়ছে। ভুগছেন বাসিন্দারা। বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার এই টাউনশিপে আবাসন আছে চার হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারে বাস করে কারখানার প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মীদের পরিবার। তবে বাকিগুলির অধিকাংশই ক্রমশ দখল হয়ে গিয়েছে। টাউনশিপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ডিপিএল। বৈধ আবাসিকদের পাশাপাশি ওই বেআইনি বসবাসকারীদেরও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে ডিপিএল। টাউনশিপের দীর্ঘদিনের পুরনো বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ প্রয়োজন বলে দাবি বাসিন্দাদের। সে জন্য মাঝে-মাঝেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিঘ্নিত হয়। তাছাড়া অবৈধ বসবাসকারীদেরও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়ছে। ফলে, লোডশেডিং লেগেই রয়েছে বলে দাবি আবাসিক সংগঠনের সম্পাদক অসীম চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’’
বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিপিএল কর্তৃপক্ষকে। ডিপিএল সূত্রে জানানো হয়েছে, ট্রান্সফর্মার, ইনস্যুলেটর প্রভৃতির গণ্ডগোলের জেরে মাঝে-মাঝেই ওই টাউনশিপে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। তবে সেখানে পুরনো সরবরাহ ব্যবস্থার সংস্কার ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বর্ষার জন্য কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান ডিপিএলের এক আধিকারিক। এডিডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, যেহেতু আবাসন এলাকার দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমরা, তাই ডিপিএল সংযোগ দেওয়ার সময়ে তাঁদের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।