ECL Authority at Harishpur

ধসপ্রবণ গ্রামে ইসিএলের কর্তা

এলাকায় মাটির নীচে ৭৫ লক্ষ টনের বেশি কয়লা মজুত আছে। গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ০৮:৫৮
Share:
হরিশপুর গ্রামে ইসিএলের সিএমডি।

হরিশপুর গ্রামে ইসিএলের সিএমডি। নিজস্ব চিত্র।

ধসপ্রবণ গ্রাম পরিদর্শন করলেন ইসিএলের সিএমডি সতীশকুমার ঝা। রবিবার অন্ডালের হরিশপুর গ্রাম ঘুরে দেখেন তিনি। সিএমডি জানান, এই গ্রামে বসবাস বিপজ্জনক।

Advertisement

এ দিন ইসিএলের সিএমডি সতীশ জানান, এই মাসের গোড়ার দিকে গ্রামবাসীর তরফে এবং শনিবার রানিগঞ্জের বিধায়কের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে এই গ্রাম পরিদর্শন করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার আবেদন জানানো হয়। তাই তিনি গ্রাম পরিদর্শনে আসেন। গ্রাম ঘুরে দেখার পরে তিনি জানান, বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে বাসিন্দারা বসবাস করছেন। এই এলাকায় মাটির নীচে ৭৫ লক্ষ টনের বেশি কয়লা মজুত আছে। গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি-সহ সব বাড়িই সমান বিপজ্জনক। এখানে বাস করা উচিত নয়।

আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ধস এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য ইতিমধ্যে হাজার চারেক বাড়ি তৈরি করেছে।‌ অন্ডালেও এই প্রকল্পের বাড়ি তৈরি হয়েছে। ইসিএলের সিএমডি জানান, জীবনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বাসিন্দাদের ওই সমস্ত আবাসনে চলে যাওয়া উচিত। এ ছাড়া, তাঁরাও সমীক্ষা করে কী ভাবে এলাকাটি অধিগ্রহণ করে নিজেদের উদ্যোগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, তা দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। তাঁর মতে, তাতে ইসিএল এবং এলাকাবাসী, দু’পক্ষই উপকৃত হবেন।‌ তবে সবটাই সমীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।‌

Advertisement

সিএমডি-র কাছে গ্রামবাসী ইসিএলের উদ্যোগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার আবেদন জানান। স্থানীয় বাসিন্দা তথা অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপনকুমার পাল জানান, সিএমডি আসায় গ্রামবাসী আশাবাদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement