কাজের ফাঁকে। নিজস্ব চিত্র
করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বেড়ে গিয়েছে মাস্ক, হাতশুদ্ধি, তরল সাবানের (হ্যান্ডওয়াশ)। এ সব এখন এক প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে এ সব সামগ্রীর উপরেই নির্ভর করে বাড়তি রোজগারের চেষ্টা করছেন কাঁকসার মলানদিঘি এলাকার একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা। তাঁরা মাস্ক তৈরি করে ব্যক্তিগত ভাবে এবং পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিক্রি করছেন বলে জানালেন গোষ্ঠীর নেত্রী কল্যাণী দাস।
গোষ্ঠীর সদস্যারা জানান, তাঁরা এত দিন রাখি, আবির, চুড়ি বানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য সে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। তাই বিকল্প হিসেবে তাঁরা মাস্ককেই বেছে নিয়েছেন। কিন্তু চাহিদা বেশি হওয়ায় জোগান দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। ৩০ জন মিলে এই কাজ করছেন। কী ভাবে তাঁরা বাজার ধরলেন? তাঁদের কাছ থেকে মাস্ক নেওয়ার জন্য প্রথমে নিজেরাই এলাকায় মুখে-মুখে প্রচার করেছেন। পরে মলানদিঘি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে তা বিক্রি করা শুরু করেন। তাঁদের কাজে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, তা দেখার দায়িত্বে রয়েছেন তুষার মুখোপাধ্যায় নামে মলানদিঘি পঞ্চায়েতের এক কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা নিজেদের এলাকা ছাড়াও, বহু জায়গা থেকে বরাত পাচ্ছি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেরাই কাঁচামাল বাজার থেকে কিনে এনে মাস্ক তৈরি করছেন। এক-একটি মাস্ক সাড়ে ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তাঁরা। কল্যাণীদেবী বলেন, ‘‘একটা সময়ে আমরা খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। মাস্ক তৈরি করে সেই চিন্তা কিছুটা দূর হয়েছে।’’
পঞ্চায়েতের প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় মাস্ক আমরা তাঁদের কাছ থেকে কিনছি। ফলে, তাঁরা যেমন উপকৃত হচ্ছেন তেমনি আমরাও কম দামে মাস্কও পাচ্ছি।’’