কালনায় ইনসাফ যাত্রায় মীনাক্ষী। নিজস্ব চিত্র।
পূর্বস্থলীয় আলুচাষি রূপসনাতন ঘোষের অপমৃত্যুর প্রসঙ্গে তৃণমূলকে নিশানা করলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বুধবার বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করলেন কেন্দ্রের ‘গাফিলতিকে’।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কালনার জিউধারায় এসে পৌঁছয় বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের ‘ইনসাফ যাত্রা’। সেখানে এক সভায় সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী বলেন, ‘‘রাজ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। শূন্যপদে নিয়োগ হচ্ছে না। ফসলের দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। বাড়ছে চাষিদের আত্মহত্যা। আলু চাষ করে কৃষক মারা গেলে তৃণমূল বলে দেয়, পারিবারিক কারণে মৃত্যু। আসলে ওরা নিজেরা পারিবারিক দুর্নীতিতে অভ্যস্ত বলে একথা বলে।’’
সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প পরিচালনা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন সিপিএমের যুবনেত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘২০২৩-এ কত মানুষকে চাকরি দেবে সরকার তা জানতে চেয়ে চিঠি দিলেও উত্তর মেলেনি।’’ বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনার জন্য রেলমন্ত্রককে দায়ী করে মীনাক্ষীর বলেন, ‘‘গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনা। কিছু দিন আগে জলের ট্যাঙ্কটিকে ‘ফিট শংসাপত্র’ দিয়েছিল। তার পরেও দুর্ঘটনা ঘটল। রেলে বেসরকারিকরণ এবং চুক্তিতে লোক নিয়োগের ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। রেলের শূন্যপদে নিয়োগ নেই। ওভার টাইম করানো হচ্ছে।’’
‘ইনসাফ যাত্রা’ ঘিরে উদ্দীপনা ছিল সিপিএম কর্মীদের মধ্যে। বামপন্থী নানা গণসংগঠনের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জিউধারা এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন কর্মীরা। এই কর্মসূচির জন্য বামেরা বেশ কিছু দিন ধরে প্রচার চালিয়েছে। বিকেল ৩টে নাগাদ হুগলি থেকে মিছিল কালনায় পৌঁছনোর কথা থাকলেও পদযাত্রীরা এসে পৌঁছন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ। সিপিএম নেতাদের দাবি, পদযাত্রীদের হুগলির নানা জায়গায় সংবর্ধনা দেন সাধারণ মানুষ। মিছিল সরগরম ছিল ধামসা-মাদলের আওয়াজে। মীনাক্ষী-সহ পদযাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা অঞ্জু কর। পদযাত্রা শেষ হয় ধাত্রীগ্রামে। সিপিএম জানিয়েছে রাতে ধাত্রীগ্রামে থাকবেন পদযাত্রীদের একাংশ। শুক্রবার সকালে ধাত্রীগ্রাম থেকে মিছিল শুরু হবে।