এক রেস্তোরাঁর রান্নাঘর ঘেঁষে নর্দমা। নিজস্ব চিত্র।
হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের গুণমান যাচাই করতে দুর্গাপুর পুরসভা হানা চলছেই। সোমবার পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান চালায় সিটি সেন্টারের বেশ কয়েকটি হোটেল ও রেস্তোঁরায়। তার মধ্যে একটি হোটেল ও একটি রেস্তোরাঁয় গাফিলতি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) লাভলি রায়।
এ দিন সিটি সেন্টারে আদালত ভবনের সামনের একটি হোটেলে অভিযান চালানো হয়। মেয়র পারিষদ জানান, সেখানে বাসি খাবার টাটকা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করার চেষ্টায় ছিলেন হোটেলের কর্মীরা। তাঁদের হাতেনাতে ধরে সেগুলি ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর পর ‘কমার্শিয়াল মার্কেট’ সংলগ্ন ক্লাবের পাশের একটি বড় রেস্তোঁরায় গিয়ে দেখা যায়, নোংরা বেসিনে জলে মাংস ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। লাভলিদেবী বলেন, ‘‘রেস্তোঁরা কর্তৃপক্ষ সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। আমতা আমতা করে বলেন, মাংস ফেলে দেওয়া হয়েছে। ডাস্টবিনে কেন ফেলা হয়নি জানতে চাওয়া হলে আটকে যান। নিয়ম মেনে জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য যাবতীয় তথ্য পুর-কমিশনারের দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
এর আগে শনিবার সিটি সেন্টার ও বেনাচিতি এলাকার চারটি রেস্তোঁরায় অভিযান চালায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। বেনাচিতির রেস্তোঁরা দু’টিতে অভিযান চালাতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে আধিকারিকদের। কোথাও কাঁচা মাংস রাখা হয়েছে মেঝেতে। পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কর্মীরা। তাঁদের পায়ের ধুলো মিশছে মাংসে। কোথাও খাবারে রাসায়নিক রং মেশানো হচ্ছে। জরিমানা করা হয় রেস্তোঁরা কর্তৃপক্ষকে। সোমবার ভিড়িঙ্গি মোড়ের এক রেস্তোঁরা কর্তৃপক্ষ জরিমানা বাবদ ৪৮ হাজার টাকা জমা দিয়ে যান পুরসভায়। পুরসভা সূত্রের খবর, তাঁরা লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন, বর্তমানে তাঁরা সরাসরি ওই ব্যবসায় যুক্ত নন। কাজেই কোনও ব্যবস্থা নিতে হলে যাঁরা রেস্তোঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই যেন নেওয়া হয়।