ট্যাঙ্কারের ভিতরে দেহ মিলল চালকের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন ধরে ওই ট্যাঙ্কারটি ডিপিএলের ৭ নম্বর গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ ধরনের ওই ট্যাঙ্কারগুলিতে সাধারণত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ০১:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছাই বয়ে নিয়ে যাওয়ার ট্যাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির পচন ধরা দেহ। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরে ডিপিএলের ৭ নম্বর গেটের পাশে দেহটি মেলে। পুলিশ জানায়, মৃত মুকেশ লাহার (৪০) বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পাহাড়পুরে। পেশায় গাড়িচালক মুকেশই ট্যাঙ্কারটি চালিয়ে এনেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন ধরে ওই ট্যাঙ্কারটি ডিপিএলের ৭ নম্বর গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ ধরনের ওই ট্যাঙ্কারগুলিতে সাধারণত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবেছিলেন, ডিপিএলের ছাই নিয়ে যাওয়ার জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছে ট্যাঙ্কারটি। বুধবার রাত থেকে এলাকায় পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। ভোরের দিকে গন্ধ আরও বাড়ে। আশপাশের বাসিন্দারা পরীক্ষা করে দেখেন, ট্যাঙ্কারটি থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর পরেই তাঁরা কোকআভেন থানায় খবর দেন। ট্যাঙ্কারটি ঘিরে ভিড় জমে যায়। পুলিশ এসে ট্যাঙ্কারের ভিতর থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, ট্যাঙ্কারটি যে পরিবহন সংস্থার, সেখানে খবর দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে চালকের দেহ ট্যাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার হল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ট্যাঙ্কারটি কোথা থেকে এসেছিল, রাস্তায় চালকের সঙ্গে কোথাও কারও বিবাদ হয়েছিল কি না, ট্যাঙ্কারের খালাসি কোথায় গেলেন, এ সব তথ্য জোগাড়ের চেষ্টাও চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁকে খুন করে ট্যাঙ্কারের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে না কি কোনও কারণে তিনি ভিতরে ঢুকে আত্মঘাতী হয়েছেন, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারীরা জানান। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement