hooch den

দুয়ারে সরকার শিবিরে চোলাই বন্ধের আর্জি

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এলাকার ২০-২৫টি পরিবার প্রকাশ্যে চোলাইয়ের কারবার চালায়। কাছেই রয়েছে গুসকরা শহর পাঠাগার, প্রাথমিক স্কুল ও খেলার মাঠ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৪৪
Share:

চোলাইয়ের বন্ধ করার আর্জি। প্রতীকী চিত্র।

দুয়ারে সরকার শিবিরে হাজির হয়ে গুসকরার পুরপ্রধানের কাছে চোলাই কারবার বন্ধের দাবি তুললেন পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার গুসকরা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার শিবির হয়। হাজির ছিলেন পুরপ্রধান, তৃণমূলের কুশল মুখোপাধ্যায়। তাঁর কাছে চোলাই কারবার বন্ধে পদক্ষেপ দাবি করেন স্থানীয়েরা। চোলাই কারবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও। পুরপ্রধান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় এই সমস্যা রয়েছে। এ দিন কিছু মানুষ আমাকে বিষয়টি জানান। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাব সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে।”

Advertisement

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এলাকার ২০-২৫টি পরিবার প্রকাশ্যে চোলাইয়ের কারবার চালায়। কাছেই রয়েছে গুসকরা শহর পাঠাগার, প্রাথমিক স্কুল ও খেলার মাঠ। চতুর্দিকে মদের গ্লাস, বোতল ছড়িয়ে থাকে। পাঠাগারে, খেলার মাঠে যেতে পারেন না সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা রেখা দাস, রেণুকা দাস, গীতা দাস-দের অভিযোগ, “বাইরে থেকে চোলাই আসে। অনেকগুলি বাড়ি থেকে বিক্রি হয়। সারাদিনই কারবার চলে। মাঝেমধ্যেই অশান্তি হয়।” তাঁদের দাবি, চোলাই খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তৃণমূল কর্মী মুন্না সাউ, প্রশান্ত মিস্ত্রি, রতন ঘোষ, সুধীর সিংহরায়, আতাউল সর্দার, অনিল দাসদের অভিযোগ, “মূলত মহিলারাই এই কারবারে যুক্ত। ব্যবসা বন্ধ করতে বললেও ওরা শুনছে না। পুলিশে অভিযোগ করেও কাজ হচ্ছে না। চোলাই কারবারিদের তালিকা গুসকরা আবগারি দফতরে জমা দিলেও অভিযান হয়নি।” ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর মনোজ সাউয়ের দাবি, “ক্ষমতায় থাকাকালীন আমরা চোলাই কারবার বন্ধে উদ্যোগী হয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তা সে ভাবে মেলেনি।”

আবগারি দফতরের সুপার দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গুসকরা এলাকায় নিয়মিত অভিযান চলে। তথ্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল আধিকারিকের অফিসে জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) বীরেন্দ্র কুমার পাঠক বলেন, “চোলাই বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলে। তা আরও বাড়ানো হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement