পানাগড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
টিকাকেন্দ্রে হুড়োহুড়ি নয়। দুর্ঘটনা এড়াতে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের পানাগড়ে একটি পলিফিল্ম কারখানার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গিয়ে এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারই ধূপগুড়ির একটি টিকাকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার জেরে জখম হন বেশ কয়েক জন।
ধূপগুড়ির দুরামারি চন্দ্রকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকাকেন্দ্রের বাইরে ব্যাপক ভিড় হয় মঙ্গলবার। গেট খুলতেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়ির জেরে পড়ে গিয়ে জখম হন অনেকে। তাঁদের বেশ কয়েক জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনার পর দিন অর্থাৎ বুধবার পানাগড়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জন সাধারণের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘ সকলে টিকা পাবেন। কিন্তু হুড়োহুড়ি করে বা কারও কথা শুনে ঘাবড়াবেন না। আমাদের কাছে যা টিকা থাকবে তা সকলকে ভাগ করে দেব। আমরা শহর এলাকায় ৭৫ শতাংশ টিকা দিতে পেরেছি। একটু অপেক্ষা করুন। মাস্ক পরুন।’’ করোনার তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে শিশুদের জন্য ১০ হাজার শয্যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জন সাধারণকেও সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধূপগুড়িতে টিকা নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় বানারহাট ব্লকের বিডিও প্রহ্লাদ বিশ্বাস এবং ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষকে শো-কজ করা হয়েছে। কী কারণে এত বড় ঘটনা ঘটল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা সাত জনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মঙ্গলবার রাতেই তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আপাতত টিকা দেওয়া বন্ধ ওই স্কুলে।