দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র
গত পুরভোটে কাটোয়ায় বেলাগাম সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এ বার ভোটের কথা উঠতেই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার কাটোয়া শহরে দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে তিনি বলেন, ‘‘গত পুরভোটে তৃণমূল কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। বোমা, বন্দুক নিয়ে দাপিয়েছে। তবে এখন সময় পাল্টেছে। ওরা না পাল্টালে আমরা ওদের পাল্টে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির ‘হুমকি’তে কাটোয়াকে অশান্ত করার চক্রান্ত দেখছে তৃণমূল। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই মোকাবিলা করা হবে বিজেপির। কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত পুরভোটে যা হয়েছে তা অতীত। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই বিজেপিকে মোকাবিলা করব।’’
১৯৯৫ সালে সিপিএমের হাত থেকে কাটোয়া পুরসভার দখল যায় কংগ্রেসের হাতে। টানা কুড়ি বছর তৎকালীন দলীয় নেতা রববীন্দ্রনাথবাবুর নেতৃত্ব পুরবোর্ড কংগ্রেসের দখলে ছিল। ২০১৫ সালে ভোটে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কুড়িটি আসনের পুরসভায় ১০টি জেতে তৃণমূল। ১০টি পায় কংগ্রেস। কংগ্রেস বোর্ড গড়বে না জানিয়ে দেওয়ায় বোর্ড গড়ে তৃণমূল। মাস দেড়েক পরে রবিবাবু তৃণমূলে যোগ দেন। প্রায় আড়াই বছর পরে তৎকালীন পুরপ্রধান অমর রামের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে পুরপ্রধান হন তিনি।
এ দিন সকাল থেকেই গত পুরভোটে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে সরব হন দিলীপবাবু। সকালে কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড-সহ নানা জায়গায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দেন তিনি। পরে তিনি বলেন, ‘‘গত পুরভোটে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী দাপিয়ে বেরিয়েছে। কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। বাড়ি থেকে কেউ বার হতে পারেননি। এ বারের পুরভোটে তৃণমূল বুথ দখল করতে আসলে আমরা ওদের পাল্টে দেব।’’ পুরভোটের আগে বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। যদিও তৃণমূলের দাবি, কোন কাউন্সিলরই বিজেপিতে যাবেন না। বিজেপি এ সব বলে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে।
কাটোয়ার সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেতা পার্থররণ রক্ষিতের দাবি, তৃণমূল ও বিজেপি একই মুদ্রার দুটি পিঠ। গত পুরভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস করেছিল। এ বার বিজেপি করার চেষ্টা করবে। তবে সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবেন।