সরলেন প্রধান

দলের নির্দেশ অমান্য করে জামালপুরের চকদিঘি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে সরিয়ে দিল তৃণমূল সদস্যেরা। সোমবার বিকেলে অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের ১৬ জন সদস্যই প্রধান সুমিতা বাস্কের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০৫
Share:

দলের নির্দেশ অমান্য করে জামালপুরের চকদিঘি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে সরিয়ে দিল তৃণমূল সদস্যেরা। সোমবার বিকেলে অনাস্থা ভোটে তৃণমূলের ১৬ জন সদস্যই প্রধান সুমিতা বাস্কের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

Advertisement

সুমিতাদেবীর অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের উন্নতির জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ লক্ষ টাকা এসেছে। স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সরতে হল। এর পিছনে পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা রয়েছেন।” তবে জামালপুরের প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিকের অনুগামী তথা জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও ব্লক সভাপতি অরবিন্দ ভট্টাচার্যের দাবি, “ওই প্রধান সিপিএমের কথামত চলছিলেন। দলের নির্দেশ মতো অনাস্থা আনতে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সদস্যদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটায় আমাদের নির্দেশ অমান্য করেছেন।” দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের কথায়, “নির্দেশ অমান্য করার জন্য দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২২ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলেরই ১৯ জন। ২০১৩ সালে সুমিতা বাস্কেকে প্রধান ও লক্ষ্মীনারায়ণ সিংহ রায়কে উপপ্রধান করে দল। বছর খানেক পর থেকেই প্রধান ও উপপ্রধানের গোলমাল শুরু হয়ে যায়। প্রধানকে সরানোর জন্য দু’বার অনাস্থা আনেন সদস্যরা। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে প্রধানের পদ টিকে থাকে সুমিতাদেবীর। জামালপুরের বিডিও সুব্রত মল্লিক জানান, তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে খুব দ্রুত পঞ্চায়েত প্রধান নিয়োগ করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement