আমানত ফেরায়নি সংস্থা, নালিশ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৬ ০৬:৩২
Share:

মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি লগ্নি সংস্থায় জমা রাখা আমানত ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না, এই অভিযোগে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন কাঁকসা ও বুদবুদের বেশ কিছু বাসিন্দা।

Advertisement

২০১১ সালে ওই সংস্থা পানাগড়ে অফিস খোলে। কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে হাওড়ার শিবপুরের একটি ঠিকানা নথিবদ্ধ করে সংস্থাটি গড়ে উঠেছিল। পানাগড় ও বুদবুদের অনেকেই চড়া সুদের আশায় মাসিক কিস্তিতে এক বছরের জন্য লগ্নি করেন। আবার অনেকে বেশি ফেরতের লোভে এক বছরের জন্য স্থায়ী আমানতে লগ্নি করেন। ২০১৩ নাগাদ তাঁদের লগ্নির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু টাকা আর মেলেনি। লগ্নিকারীদের অভিযোগ, সংস্থার স্থানীয় এজেন্টদের বলে, ফোনে আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। শেষে তাঁরা দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন।

লগ্নিকারী অজয় মাজি, গৌতম প্রামাণিক, অন্না সাউ, ইন্দুদেবী প্রসাদরা জানান, স্থানীয় এজেন্ট জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিন্ন করেছেন। সেই এজেন্টরাও গ্রাহকদের সঙ্গে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন। পানাগড় অফিসের দায়িত্বে ছিলেন বুদবুদের চাকতেঁতুল গ্রামের বিশ্বতোষ হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘চেনা-পরিচিত মানুষ কষ্টের সঞ্চয় লগ্নি করেছিলেন। কিন্তু এ ভাবে কর্তৃপক্ষ হাত তুলে নেবেন ভাবিনি।’’ তিনি আরও জানান, পানাগড় অফিসের মাধ্যমে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। ২০১৪ সালে লগ্নিকারীদের নিয়ে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা মনোজ অগ্রবালের কাছে গিয়েছিলেন। বিশ্বতোষবাবু বলেন, ‘‘তিনি দেখা করেননি। ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে ডাকে চিঠি পাঠাই। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।’’ মনোজবাবুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সংস্থার মুখ্য পরামর্শদাতা তথা ম্যানেজার উদয় সরকার দাস বলেন, ‘‘সংস্থা উঠে গিয়েছে। আমিও বিপাকে পড়ে গিয়েছি।’’

Advertisement

গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement