বাড়ছে দূষণ, প্লাস্টিকমুক্ত শহরের দাবি বাসিন্দাদের

কালনা শহরের দাঁতনকাঠিতলা এলাকায় রয়েছে ‘জামে মসজিদ-ই-মজলিস’ নামে একটি প্রাচীন মসজিদ। ছ’শো বছরেরও বেশি পুরানো ওই মসজিদটির কিছু শিল্পকর্ম নষ্ট হয়ে গেলেও এখনও এটি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। প্রতিদিন বহু মানুষ ছুটে আসেন এটি দেখতে।

Advertisement

কালনা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৫ ০১:১৯
Share:

মসজিদের এই দেওয়ালটি ভেঙে পড়ারই আশঙ্কা রয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

মসজিদে নজর দিন

Advertisement

কালনা শহরের দাঁতনকাঠিতলা এলাকায় রয়েছে ‘জামে মসজিদ-ই-মজলিস’ নামে একটি প্রাচীন মসজিদ। ছ’শো বছরেরও বেশি পুরানো ওই মসজিদটির কিছু শিল্পকর্ম নষ্ট হয়ে গেলেও এখনও এটি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। প্রতিদিন বহু মানুষ ছুটে আসেন এটি দেখতে। ঈদেও বহু ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই মসজিদের সামনে নমাজে যোগ দেন। কিন্তু বর্তমানে যে কোনও সময়ে মসজিদটির পিছনের দেওয়াল ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মসজিদের পিছনে যে পুকুরটি রয়েছে সেটি মসজিদের খুব কাছে চলে এসেছে। মনে হয়, যে কোনও সময়ে দেওয়ালটি পুকুরে ধসে যেতে পারে। এছাড়া অপূর্ব শিল্পনৈপুণ্যে ভরপুর মসজিদটির ভিতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থা নেই। ফলে কারুকাজ খুঁটিয়ে দেখতে মুশকিলে পড়েন পর্যটকেরা। পর্যটনের স্বার্থে প্রাচীন মসজিদটির দিকে নজর দেওয়া উচিত পুরসভার।

শাহনেওয়াজ উদ্দিন মণ্ডল

Advertisement

শাসপুর, দাঁতনকাঠিতলা

যান নিয়ন্ত্রণ জরুরি

সম্প্রতি যানবাহনের সংখ্যা ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে কালনা শহরে। শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে টোটো অটোর মতো প্রচুর যাত্রীবাহী গাড়ি। তাতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে স্বাছন্দ্য কিছুটা বাড়লেও বিপদও বেড়েছে। রাস্তার পাশে প্রচুর স্কুল রয়েছে শহরে। সারাদিন নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে গাড়িগুলি ছুটে চলায় রাস্তা পারাপারে বিপদ বেড়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। দুর্ঘটনাও ঘটছে। অথচ শহরের কোনও স্কুলের সামনেই গাড়ি আস্তে চালানোর কথা লেখা কোনও সাইনবোর্ড নেই। তাছাড়া যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশেরও দেখা মেলে না। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া এবং স্কুলগুলির সামনে সতর্কীকরণ বোর্ড ঝোলানো।

শুভব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

কাঁসারিপাড়া

শৌচাগারের দাবি

মহকুমার একমাত্র শহর কালনা। লোকসংখ্যাও প্রায় ৬০ হাজার। এছাড়াও প্রতিদিন নানা কাজে বহু মানুষ শহরে আসাযাওয়া করেন। অথচ যথেষ্ট শৌচাগার নেই এ শহরে। ফলে সাধারণ মানুষকে শহরের যত্রতত্র শৌচকর্ম সারতে হয়। দূষিত হয় পরিবেশ। শৌচাগার কম থাকায় বেশি অসুবিধায় পড়েন মহিলারা। পুরসভা বিষয়টি নজর দিলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।

কল্যান দে

বিদ্যাবাগীশপাড়া

নিত্য সাফাই চাই

জনসংখ্যা বাড়লেো সাফাই কর্মী বাড়েনি কালনা শহরে। ফলে বাড়ি থেকে বেরোলেই নজরে পড়ে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা জঞ্জাল। অনেক ভ্যাট থেকেও জঞ্জাল উপচে পড়ে। দুর্গন্ধ টেকা দায় হয় এলাকার মানুষজনের। নিকাশি নালাগুলিও নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। আবর্জনা জমা নালাগুলি থেকে মশা মাছির উপদ্রব বাড়ে। আবার বহু সময় দেখা যায় সাফাই কর্মীরা নর্দমা পরিষ্কার করে আবর্জনা জমা করে রেখেছেন পাড়ে। সেখান থেকেও দূষণ ছড়ায়। শহরকে ঝাঁ চকচকে করতে প্রশাসন এগিয়ে এলে মানুষ উপকৃত হবেন।

করুণা চট্টোপাধ্যায়

সিদ্ধেশ্বরীতলা

পলিথিন সর্বত্র

স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল থেকে দোকান-বাজার— ভোর হতেই নানা প্রয়োজনে কালনা শহরে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। অজস্র দর্শনীয় স্থান দেখতে হাজির হন পর্যটকেরাও। অথচ প্রাচীন এ শহরের সৌন্দর্য্য চাপা পড়েছে প্লাস্টিক দূষণে। যে কোনও দোকান বা আরও নানা কাজে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার হয় এখানে। ব্যবহারের পরে পলিথিনের ব্যগটি ছড়িয়ে থাকে যত্রতত্র। জোরে হাওয়া দিলে অথবা ঝড় হলে বর্জ্য পদার্থ বাড়ির ভিতরেও ঢুকে আসে। শহরের নালাগুলির মধ্যেও প্রচুর প্লাস্টিক পড়ে থাকে। ফলে বর্ষায় নিকাশি সমস্যা দেখা যায়। ভারি বৃষ্টি হলেই অনেক নালা থেকে প্লাস্টিক রাস্তায় ভেসে চলে আসে। শহরকে বাঁচাতে প্রশাসনের প্রথমেই প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

মন্টু সাহা

কালীনগরপাড়া

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement