ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে (বিএমওএইচ) সরানোর দাবিতে বিডিও-র হাতে দাবিপত্র দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। খান্দরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিজের আবাসনের সামনে বিএমওএইচ পরিতোষ সোরেনের মদতে মদ্যপানের আসর বসছে বলে অভিযোগ করেন উখড়ার পঞ্চায়েত প্রধান দয়াময় সিংহ। অন্ডালের বিডিও মানস পাণ্ডা বলেন, “বিএমওএইচ-এর বিরুদ্ধে প্রধানের অভিযোগ পেয়েছি। তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।’’ বিএমওএইচ যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
দয়াময়বাবু জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ শুকোপাড়ার বাসিন্দা বরুণ সিংহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, চার জন মাতৃযান চালক মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। তা দেখে বরুণবাবু মাতৃযানের ব্যবস্থা করার আবেদন জানাতে পাশেই বিএমওএইচ-এর আবাসনে যান। কিন্তু সেখানে তিনি কোনও সাড়া পাননি বলে অভিযোগ।
বরুণবাবু প্রধানকে ফোন করে বিষয়টি জানান। প্রধানের অভিযোগ, “ফোনে সব জেনে আমি নিজে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে বিএমওএইচ-এর আবাসনে যাই। বারবার ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খোলেননি। বাধ্য হয়ে বরুণবাবু স্ত্রীকে ভাড়া গাড়িতে চাপিয়ে অন্যত্র চিকিৎসকের কাছে যান।’’ প্রধানের দাবি, বরুণবাবু একটি অভিযোগপত্র তাঁকে দিয়েছেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেছেন, এ ভাবে প্রতিদিন বিএমওএইচ-এর আবাসনের সামনে মদ্যপানের আসর বসে। বিএমওএিচ-কে না সরানো হলে এলাকার মানুষ ঠিক ভাবে পরিষেবা পাবেন না বলেও দাবি করা হয়েছে অভিযোগে। প্রধান বলেন, ‘‘আমি প্রশাসনের কাছে ওই দাবি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। সঙ্গে বরুণবাবুর দাবিপত্রটিও জুড়ে দিয়েছি।”
পুলিশ অবশ্য জানায়, বিএমওএইচ তাদের ফোন করে জানিয়েছিলেন, চালকেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তার ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে আটকও করা হয়েছিল। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ না মেলায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত বিএমওএইচ অবশ্য এ দিন কোনও কথাই বলতে চাননি।