Service Road

সার্ভিস রোড ভাঙা নিয়ে মন্তব্যে ‘বিতর্ক’

বাঁশড়া মোড়ে বাবুল বলেন, ‘‘সার্ভিস রোড দিয়ে ভারী যান চলাচল করা উচিত নয়। বাঁশড়া ও লাগোয়া এলাকার সার্ভিস রোডে কয়লা-সহ অন্য পণ্যবাহী ভারী ট্রাক, ডাম্পার চলাচলের জন্যই রাস্তা ভাঙছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ ও আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০২:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভারী যান চলাচলের জন্য বেহাল হচ্ছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড, মঙ্গলবার রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড় ও বাঁশড়া মোড়ে সার্ভিস রোড সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করে এমনই মন্তব্য করলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যদিও সাংসদের এই মন্তব্যের পরেই বণিক সংগঠনগুলি এবং সিপিএম প্রশ্ন তুলেছে, সার্ভিস রোড ছাড়া, শিল্পাঞ্চলের ভারী যানবাহন কোন পথে যাবে!

Advertisement

এ দিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংস্কারের কাজ পরিদর্শনে যান বাবুল। বাঁশড়া মোড়ে বাবুল বলেন, ‘‘সার্ভিস রোড দিয়ে ভারী যান চলাচল করা উচিত নয়। বাঁশড়া ও লাগোয়া এলাকার সার্ভিস রোডে কয়লা-সহ অন্য পণ্যবাহী ভারী ট্রাক, ডাম্পার চলাচলের জন্যই রাস্তা ভাঙছে। এর জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দায়ী নন। স্থানীয় প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এই সব এলাকাগুলিতে ভারী যান যান চলাচল না করে।’’ এর পরেই ‘রানিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স’-এর সভাপতি সন্দীপ ভালোটিয়া জানান, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের এই সার্ভিস রোডগুলির পাশে প্রচুর শিল্প সংস্থা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘স্বাভাবিক ভাবেই কারখানার সামগ্রী পরিবহণকারী ট্রাকগুলি, অন্য জায়গা থেকে আসা গাড়িগুলিকে সার্ভিস রোড দিয়েই মূল সড়কে উঠতে হয়। এর বিকল্প রাস্তা নেই। তাই সাংসদের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। রাস্তার গুণমান ভাল হলে কখনই তা ভাঙবে না।’’

রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের দাবি, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলি থেকে রানিগঞ্জে যাতায়াত করা ট্রাক, ডাম্পারগুলি ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু সেগুলিকে কলকাতা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতে হলে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠতে হয়। সে জন্য সার্ভিস রোড ব্যবহার করতেই হবে। তা ছাড়া, বিকল্প রাস্তা নেই।

Advertisement

বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের দাবি, ‘‘সাংসদের মন্তব্যের অপব্যাখ্যা হচ্ছে। উনি আসলে বলতে চেয়েছেন, অতিরিক্ত মালবোঝাই গাড়ি চলাচলের জন্যই এই হাল।’’ তৃণমূলের জেলার অন্যতম মুখপাত্র অশোক রুদ্রের টিপ্পনী, ‘‘এলাকার ভূগোল নিয়ে কোনও ধারণা নেই সাংসদের। তাই এমন মন্তব্য করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।’’

এ দিন বাবুল আসানসোলের কুমারপুর উড়ালপুল নির্মাণের কাজও পরিদর্শন করেন। কাজ দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। করোনা-পরিস্থিতিতে প্রায় চার মাস কাজ ব্যাহত হওয়ায় নির্মাণকাজে দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে তাঁর আশ্বাস, ‘‘দ্রুত কাজ শেষের চেষ্টা হচ্ছে।’’ ২০১৪-য় ভোটে জেতার পরেই এলাকার বণিক সংগঠন এবং বাসিন্দাদের আর্জি মতো এই উড়ালপুল তৈরিতে সক্রিয় হন বাবুল। পুলটির জন্য রেল ও সেল প্রায় ৫৪ কোটি টাকা খরচ করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement