রেললাইনে দেহ, খুনের অভিযোগ

কালনার শ্যামগঞ্জ পা়ড়ার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সুশীল মণ্ডল(৩৮)। কালনা ২ ব্লকের সাহাপুর বেলতলা এলাকার রেললাইন থেকে দেহ মেলে তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০১:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাতে একটা ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ভোরে রেললাইনে দেহ মিলল ওই যুবকের।

Advertisement

কালনার শ্যামগঞ্জ পা়ড়ার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সুশীল মণ্ডল(৩৮)। কালনা ২ ব্লকের সাহাপুর বেলতলা এলাকার রেললাইন থেকে দেহ মেলে তাঁর। সুশীলবাবুর পরিবারের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। খুনিদের গ্রেফতার ও দেহ কালনা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের দাবিতে দুপুরে এসটিটিকেকে রোড অবরোধও করেন শ্যামগঞ্জপাড়ার বেশ কিছু বাসিন্দা। হাসপাতালের সামনে অবরোধ চলে প্রায় চল্লিশ মিনিট।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জুয়ার ঠেকে আনাগোনা ছিল সুশীলবাবুর। জুয়াড়িদের মোটরবাইক-সহ নানা জিনিস রেখে চড়া সুদে টাকা ধার দিতেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে থাকাকালীনই একটি ফোন আসে তাঁর। এরপরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। আর ফেরেননি। পরিবারের দাবি, রাতে বারবার ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। সকালে ফের ফোন করলে ফোন ধরেন কালনা জিআরপি থানার এক আধিকারিক। তিনি পরিবারের লোকজনেদের থানায় আসতে বলেন। মৃতের ভাই সুশান্ত মণ্ডলের দাবি, ‘‘আমাদের দৃঢ ধারনা দাদাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করুক।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গলার বেশ কিছুটা কাটা অবস্থায় ওই যুবকের দেহ পড়েছিল। রেললাইন থেকে কিছুটা দূরে পাটখেতের কাছে ওই যুবকের মোবাইল এবং এক জোড়া চটি মেলে। এ দিন ময়না-তদন্তে বিশেষজ্ঞ নেই জানিয়ে কালনা হাসপাতাল দেহ বর্ধমানে পাঠানোর কথা বলে। সে কথা শোনার পরেই এসটিকেকে রোড অবরোধ শুরু করেন মৃতের পড়শিরা। পরে পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement