Cyclone Yaas

Cyclone Yaas: ইয়াস মোকাবিলায় সতর্কতা জারি, তবে আশঙ্কার তেমন কারণ দেখছেন না ডিভিসি কর্তৃপক্ষ

ইয়াস-এর পরে জলাধারের গেট খুলে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলেই ডিভিসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের মত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ১৭:৩৬
Share:

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বঙ্গোপসাগরে অনেকটা বাঁক নিয়ে ওড়িশা হয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢুকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণঝড়ের সেই যাত্রাপথেই পড়তে পারে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাংশ। দামোদর নদীর অববাহিকায় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই নদীর উপর রয়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের বিভিন্ন জলাধার। যেগুলির অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের সীমানাবর্তী এলাকায়।

Advertisement

মাইথন, পাঞ্চেত, তেনুঘট, কোনারের মত এই জলাধারগুলিতে ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন ডিভিসি-র কর্তাদের একাংশ। তবে প্রবল আশঙ্কার কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। কারণ, গ্রীষ্মের মরসুম হওয়ায় ওই ড্যামগুলিতে জলের পরিমাণ সামান্য। জলের স্তর যতটা থাকা প্রয়োজন তার থেকে অনেকটাই কম রয়েছে। ফলে দু’দিন বা তিন দিন ধরে এই এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক বাড়লেও তাতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। জলাধারগুলিতে যে জলধারণ ক্ষমতা রয়েছে, তা ছাপিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

ইয়াস-এর পরে জলাধারের গেট খুলে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলেই ডিভিসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের মত। ডিভিসির মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এই সাইক্লোনের পরে বন্যা হতে পারে, এ রকম চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ তবে তাঁরা সতর্কতায় বিন্দুমাত্র শিথিলতা দেখাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সত্যব্রত। সাইক্লোন এবং ভারী বৃষ্টির ফলে জলস্তর কতটা বাড়ছে, সে বিষয়ে সর্বক্ষণ নজরদারি চলবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement