দুর্গাপুর পুরসভার সামনে সমাবেশ। —নিজস্ব চিত্র।
সই সংগ্রহ, বিক্ষোভ, একশো কিলোমিটার পথ হাঁটা— প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছিল মাস খানেক আগে থেকেই। তারপরে সোমবার দুর্গাপুর পুরসভার সামনে সমাবেশ করল ১৩টি বাম সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। সেখান থেকে পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বেহাল নাগরিক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। বন্ধ কারখানা খোলা, নতুন কারখানা তৈরি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে দাবিও জানান বাম নেতৃত্ব।
২০১৫ সালের জুন মাসে মূলত সিপিএমের উদ্যোগেই ১৩টি বাম সংগঠনকে নিয়ে তৈরি হয় যৌথমঞ্চ। তারপরে থেকেই তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে লাগাতার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে যৌথমঞ্চ। বিধানসভা ভোটের আগে বেহাল পরিষেবার অভিযোগ তুলে সই স্বাক্ষর সংগ্রহ করে স্মারকলিপি দেওয়া হয় পুরসভায়। এরপরে চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর জেমুয়ার পরাণগঞ্জ থেকে শুরু হয় যৌথ মঞ্চের মিছিল। মিছিল এমএএমসি টাউনশিপ, বিধাননগর, মুচিপাড়া, সগড়ভাঙা, শ্যামপুর, ডিপিএল কলোনি, ডিভিসি মোড় হয়ে রবিবার পর্যন্ত ১৫টি ওয়ার্ডের ১০৪ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করেছে। সোমবার বিকেলে পুরসভার সামনে সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হয়।
সমাবেশে যোগ দেন সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অমল হালদার, প্রাক্তন সাংসদ সাইদুল হক প্রমুখ। সমাবেশের শেষ পুরসভায় স্মারকলিপি জমা দেওয়ার থাকলেও তা হয়নি। কেন এমনটা? সিপিএমের দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারের দাবি, ‘‘বর্তমান পুরবোর্ডের আয়ু আর মাত্র কয়েক মাস। বছরের পর বছর দাবি জানিয়েও ফল হয়নি। তাই এখন আর স্মারকলিপি দিয়ে লাভ কী!’’ তবে স্মারকলিপি না দেওয়ার প্রসঙ্গটি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘লিখিত দিয়ে আর কী হবে। মিথ্যা অভিযোগ আর দাবি নিয়ে আন্দোলন হলে এমনটাই হয়!’’
এ দিন যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুরসভা চত্বরে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করে প্রশাসন।