চাপানউতোর: ছেঁড়া ফ্লেক্স। (ডান দিকে) হামলায় জখম সিপিএম সমর্থক। দুর্গাপুরে শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
সকালে সিপিএমের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ। শুক্রবার বেলা গড়াতেই দুর্গাপুরের অন্য প্রান্তে সিপিএম প্রার্থীর উপরে হামলার পাল্টা অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার তৃণমূল প্রার্থী, বিদায়ী মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) লাভলি রায়। তাঁর সমর্থনেই টাঙানো হয়েছিল ফ্লেক্স। তৃণমূলের অভিযোগ, এ দিন সকালে উত্তরপল্লিতে তাঁদের প্রার্থীর সমর্থনে টাঙানো ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, ‘‘বিদায়ী কাউন্সিলর সিপিএমের। তিনি কোনও কাজ করেননি। তাই সিপিএম ভয় পেয়ে এই সব করছে।’’ যদিও সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায়সরকারের দাবি, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, সিপিএমের সমর্থনে টাঙানো ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীনগরপল্লিতে সিপিএম প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএম জানায়, ওই এলাকায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সুমিত রায়চৌধুরী কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে বের হন। সুমিতবাবুর অভিযোগ, ‘‘মোটরবাইকে চড়ে আচমকা জনা কু়ড়ি যুবক এসে আমাদের মারধর করে।’’ সিপিএমের দাবি, মারধরে পায়ে চোট পান সুমিতবাবু। জখম হন মানিক দাস নামে এক সিপিএম সমর্থকও। সুমিতবাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। মানিকবাবুকে সিটি সেন্টারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, এই ওয়ার্ডে পরাজয় বুঝেই এমন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি (দুর্গাপুর) উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যের লড়াই তৃণমূলের হামলা বলে প্রচার করছে সিপিএম।’’
দিন কয়েক আগেই পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজি এবং প্রচারে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তা-ও অস্বীকার করে তৃণমূল।