—ফাইল চিত্র।
পুরসভা গঠনের সময় থেকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বরাবর জয়ী হয়েছেন আরএসপি প্রার্থী। অথচ, এ বার সেখানে আরএসপি-র বদলে বামফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে সিপিএমের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। প্রতিবাদে সেই আসনে আরএসপি আলাদা করে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। এর ফলে ওই ওয়ার্ডে বামেদের ভোট ভাগ হয়ে তৃণমূলের সুবিধা হবে বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের। অবিলম্বে সমঝোতার আর্জি জানিয়ে আরএসপি-র পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে।
গত পুরভোটে ওই আসনে জয়ী হন আরএসপি-র লোকনাথ দাস। তিনি সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের উপস্থিতিতে বামেদের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় ওই ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। সভায় আরএসপি-র কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে শহরে নানা কর্মসূচিতে আরএসপি-র কাউকে দেখা যায় না। ফলে, দুর্গাপুরের রাজনীতিতে দলটি প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ওয়ার্ডে আলাদা প্রার্থী দেয় আরএসপি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরনোর পরে দেখা যায়, দুই দলের প্রার্থীই রয়ে গিয়েছেন।
আরএসপি-র বর্ধমান জেলা সম্পাদক শ্যামলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘এর ফলে তৃণমূলের সুবিধা হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করা দরকার। বাম ঐক্যের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জেলা বামফ্রন্টকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেও দুর্গাপুরের নেতাদের তরফে সদর্থক সাড়া মেলেনি। দলের জেলার কার্যকরী কমিটির সদস্য রজত দত্ত শহরে আরএসপি-র প্রাসঙ্গিকতা হারানোর প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘দুর্গাপুরের বিভিন্ন আন্দোলনে বরাবর আরএসপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।’’ দুর্গাপুরের সিপিএম নেতা বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই ওয়ার্ড থেকে দু’বার আরএসপি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, দু’বারই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আমরা আরএসপি-কে অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা রাজি হয়নি। বামফ্রন্টের ডাকা বৈঠকেও যোগ দেয়নি।’’