বিক্ষোভ কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র
খনি অঞ্চলে পুনর্বাসন প্রকল্প দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) কার্যালয়ের সামনে বুধবার যৌথ ভাবে বিক্ষোভ দেখাল বাম-কংগ্রেস। দুর্গাপুরের দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের উপস্থিতিতে ছিল ওই কর্মসূচি।
বিক্ষোভে যোগ দেয় ১৬টি বামপন্থী দল ও কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ২০০৯-এ প্রকল্প শুরু হওয়ার পরে বছরখানেক গতি থাকলেও, কাজ সে ভাবে এগোয়নি। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায়সরকার বলেন, ‘‘খনি এলাকায় বাসিন্দাদের প্রতিটি দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। অথচ, রাজ্য সরকার ও প্রকল্পের ‘নোডাল এজেন্ট’ এডিডিএ-এর উদাসীনতার জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প রূপায়ণ হতে এত দেরি হচ্ছে।’’ বাম নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, পুনর্বাসন প্রকল্পের অর্থে চড়া দাম দিয়ে অণ্ডাল বিমাননগরী থেকে জমি কেনা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য এডিডিএ-কে ইসিএলের দেওয়া ৫৮২ কোটি টাকার সুদের কী হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।
তবে এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাম আমলে এলাকাভিত্তিক যে সমীক্ষা করা হয়েছিল, তা ভুলে ভরা। নতুন করে সমীক্ষা করা ও জমি জোগাড় করতে সময় লেগে যায়। এখন দ্রুত গতিতে আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে। প্রায় ৮,৭০০ ফ্ল্যাট তৈরির কাজ শেষের দিকে।’’
ঘটনাচক্রে, এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি ‘ভার্চুয়াল বৈঠকে’ জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন, আবার বিরোধীরা প্রকল্প নিয়ে সরব হলেন। এই পরিস্থিতিতে এলাকার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাশের মতে, প্রতিটি নির্বাচনের মতো ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পুনর্বাসন প্রকল্পের বিষয়টি অবশ্যই জড়িয়ে থাকবে। কারণ, পুনর্বাসন পাওয়ার কথা জেলার কম-বেশি ৪৫ হাজার পরিবারের। তৃণমূলের জেলার অন্যতম মুখপাত্র তাপসবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বাম-কংগ্রেস—দু’পক্ষই মিথ্যা অভিযোগ করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।’’