কোকওভেন থানায় বিক্ষোভ জোটের। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট মিটে গিয়েছে। কিন্তু শিল্পাঞ্চলে যৌথ কর্মসূচির উপরেই ভরসা রাখছে বাম এবং কংগ্রেস। ভোট পরবর্তী একের পরে এক সন্ত্রাসের ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই অভিযোগে রবিবার জোটের তরফে মিছিল ও থানায় বিক্ষোভ দেখানো হল দুর্গাপুরে।
জোটের নেতাদের দাবি, ১১ এপ্রিল ভোট হয়ে যাওয়ার পরেই কোকওভেন থানার বিভিন্ন জায়গায় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির ছক কষে। অভিযোগ, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আশিসনগর, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপাড় এলাকা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি, ক্যানালপাড় এলাকায় সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এমনকী, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। সিপিএমের আরও অভিযোগ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কালীপুরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখাচ্ছে। ওই ওয়ার্ডেরই লেবারহাট, নেপালিপাড়া ইত্যাদি এলাকায় ভোটের সময়ে শাসকদলের সঙ্গ না দেওয়ার জন্য অনেককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, শুধু হুমকি বা মারধর নয়, অন্য ভাবেও চাপে রাখার চেষ্টা করছে শাসক দল। ডিপিএলের বেশ কিছু ঠিকা শ্রমিককে ইতিমধ্যে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক জনকে বসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আবার, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করার পরেও ভোটের সময়ে শাসক দলের বিরোধিতা করায় ডিপিএলের আইএনটিটিইউসি নেতারা প্রভাব খাটিয়ে বেশ কয়ে জনের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। আইএনটিটিইউসি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের ডিপিএলের নেতা আলোময় ঘড়ুই বলেন, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমন সব মিথ্যে অভিযোগ করছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।’’
সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার এবং কংগ্রেস নেতা দেবেশ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। সে জন্যই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এ ভাবে মানুষকে সন্ত্রস্ত করতে পারছে।’’ তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, ‘‘ভোটের ফল ঘোষণার দিন যত এগিয়ে আসছে তত অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ছে বিরোধীরা। তাই নিত্যনতুন অভিযোগ এনে নিজেদের প্রাসঙ্গিক রাখার চেষ্টা করছে।’’ দুর্গাপুরের এক পুলি কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়া মাত্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’