Coronavirus

করোনার থাবা কয়লা শিল্পক্ষেত্রে

ইসিএল সূত্রে জানা যায়, ওই অর্থবর্ষে উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ৫৩০ লক্ষ টন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে উত্তোলন হয়েছে, প্রায় ৫০৪ লক্ষ টন কয়লা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

মূলত করোনা-পরিস্থিতিতে সদ্য শেষ হওয়া অর্থবর্ষে (২০১৯-২০) কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি, জানাল ইসিএল। তবে তার পরেও কয়লা উত্তোলন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু ‘সাফল্য’ মিলেছে বলে জানান ইসিএল-এর সিএমডি প্রেমসাগর মিশ্র।

Advertisement

ইসিএল সূত্রে জানা যায়, ওই অর্থবর্ষে উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ৫৩০ লক্ষ টন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে উত্তোলন হয়েছে, প্রায় ৫০৪ লক্ষ টন কয়লা। তবে এটিই সংস্থার জন্মলগ্ন থেকে ‘সর্বাধিক’ কয়লা উত্তোলন। পাশাপাশি, ‘রেকর্ড’ পরিমাণ (প্রায় ১,৪০৪ লক্ষ ঘনমিটার) বর্জ্য (‘ওভারবার্ডেন’) সাফ করা হয়েছে।

কিন্তু উত্তোলনের লক্ষ্যপূরণ হল না কেন? ইসিএল কর্তাদের ব্যাখ্যা, প্রথমত, করোনা-পরিস্থিতির ফলে কয়লা উত্তোলন ও সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘জনতা কার্ফু’ ও প্রথম চার দিন ‘লকডাউন’-এর ফলে, ঠিকা প্রথায় চলা খোলামুখ খনিগুলিতে খুব কম পরিমাণে কয়লা উত্তোলন হয়েছে।

Advertisement

ইসিএল-এর সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘করোনা-পরিস্থিতির জেরে কয়লা উত্তোলন প্রভাবিত না হলেও সরবরাহে সমস্যা হয়েছে।’’ দ্বিতীয়ত, খোট্টাডিহি খনিতে চিনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘কন্টিনিউয়াস মাইনিং’-এর মাধ্যমে কয়লা তোলার পরিকল্পনা ছিল। ফেব্রুয়ারিতে চিনের বিশেষজ্ঞদের ওই খনিতে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে করোনা-বিপর্যয় শুরু হওয়ায় এবং ভারতে চিনা নাগরিকদের ভিসা বাতিল হওয়ায় তাঁরা আসতে পারেননি। ফলে, ওই কোলিয়ারিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়নি।

সিএমডি প্রেমসাগরবাবু জানান, খনি সম্প্রসারণের জন্য চাহিদামতো জমি না মেলা, অনেক ক্ষেত্রে জমি মিললেও বন দফতর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ার কারণেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

ইসিএল কর্তারা জানান, এই পরিস্থিতিতেও ঝাড়খণ্ডের রাজমহল খোলামুখ খনির প্রায় ১৭৩ লক্ষ টন, পশ্চিমবঙ্গের শোনপুর বাজারি খোলামুখ খনিতে ১১১ লক্ষ টন, ঝাঁঝরা ভূগর্ভস্থ খনির প্রায় সাড়ে ৩০ লক্ষ টন ‘রেকর্ড’ কয়লা উত্তোলন হয়েছে। পাশাপাশি, গত ৩১ মার্চ সংস্থার বিভিন্ন খনি মিলিয়ে এক দিনে প্রায় ২.৬৩ লক্ষ টন ‘রেকর্ড’ কয়লা উত্তোলন হয়েছে।

সিএমডি বলেন, ‘‘ইসিএল এ বছর বেশ কয়েকটি রেকর্ডও করেছে। এর কৃতিত্ব সংস্থার শ্রমিক, আধিকারিক, সকলের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement