Coronavirus

‘প্রচেষ্টা’ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জেলায়

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পের জন্য জরুরি ‘অ্যাপ্লিকেশন’-টি ‘গুগল প্লে-স্টোরে’ ও ‘https:// prachesttawb.in’ পোর্টাল থেকে পাওয়া যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৪:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে মঙ্গলবার ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের আবেদনপত্র পূরণ করা শুরু হয়েছে। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলা নির্মাণকর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ‘অ্যাপ’-টি ‘ডাউনলোড’ করা যায়নি এ দিন। পাশাপাশি, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তারাও সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট ‘পোর্টাল’ এ দিন তাঁরা খুলতে পারেননি। তবে, বেশ কয়েকজন শ্রমিক আবেদনপত্র পূরণ করার কথাও জানিয়েছেন।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’-এর মাধ্যমে মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর ও আসানসোল) এবং বিডিও-দের কী ভাবে পোর্টাল খুলে আবেদনপত্র যাচাই করতে হবে, তা নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পের জন্য জরুরি ‘অ্যাপ্লিকেশন’-টি ‘গুগল প্লে-স্টোরে’ ও ‘https:// prachesttawb.in’ পোর্টাল থেকে পাওয়া যাবে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথি দিয়ে আবেদন করা যাবে। আবেদনপত্রটি ব্লকের ক্ষেত্রে বিডিও, মহকুমার ক্ষেত্রে মহকুমাশাসক ও কলকাতা পুরনিগমের কমিশনার নির্দিষ্ট পোর্টালের ‘ড্যাশবোর্ডে’ দেখতে পাবেন। তাঁরা যাচাই করার পরে, জেলাশাসক ও কলকাতায় পুর-কমিশনার চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন। তার পরে সেটি শ্রম দফতরের মাধ্যমে অনুমোদন পাবে।

Advertisement

কিন্তু এ দিন আবেদন করতে গিয়ে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া মিলেছে জেলার নানা প্রান্ত থেকে। জামুড়িয়ার ধসল গ্রামের চন্দ্রহাস বাউড়ি জানান, তাঁর ছেলে তন্ময়ের জন্য নিজের ফোন থেকে, জামুড়িয়ার খাসেকন্দার বাসিন্দা বিনোদ মাহালি ও ডোবরানা নজরুলপল্লির তপন বাউড়িরা অন্যের ফোনের সাহায্যে আবেদনপত্র পূরণ করেছেন। কিন্তু দুর্গাপুরে আটকে থাকা মুর্শিদাবাদের সন্দীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘বহু বার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অ্যাপটি ডাউনলোড হয়নি।’’ আবার আবেদনপত্র পূরণ করেও তা আদতে ঠিক ভাবে হয়েছে কি না, তা বুঝতে পারেননি বলে জানান আসানসোলে আটকে থাকা মুর্শিদাবাদের মুলুক শেখ। এঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক।

এই পরিস্থিতিতে সিটু অনুমোদিত পশ্চিম বর্ধমান জেলা নির্মাণকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক সুপ্রিয় রায় জানান, জেলায় ৪০ হাজারেরও বেশি নির্মাণকর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া, অন্য অসংগঠিত ক্ষেত্রে লক্ষাধিক শ্রমিক যুক্ত। সুপ্রিয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘বেশির ভাগ শ্রমিক, কর্মীই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেননি। অনলাইনের পাশাপাশি, পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকার জন্য বরো কার্যালয়ের মাধ্যমে আবেদনপত্র পূরণের ব্যবস্থা করা হোক। কারণ, অনেকের অ্যান্ড্রয়েড ফোন নেই। সবার পক্ষে অন্যের ফোন বা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement