পথে বসে চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’-এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বাস চলাচল। এই পরিস্থিতিতে উপার্জনও নেই পরিবহণ কর্মীদের। তাঁদেরই একাংশ খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার দাবিতে রবিবার সকালে কাঁকসার বিদবিহার পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকায় মুচিপাড়া-শিবপুর রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক বিক্ষোভ দেখালেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, শিবপুর থেকে দুর্গাপুর, আসানসোল, বর্ধমান এবং বীরভূমের নানা প্রান্তে বেশ কয়েকটি বাস চলে। বাসকর্মী লালু কর্মকার, দীপক ঘোষেরা বলেন, ‘‘যেদিন বাস চলে সেদিন টাকা মেলে। বাস না চললে উপার্জন থাকে না। দীর্ঘদিন বাস বন্ধ থাকায় সঞ্চিত অর্থও ফুরিয়ে আসছে। কী ভাবে সংসার চালাব জানি না।’’ তাঁদের দাবি, প্রায় ৭০ জন বাসকর্মী এই মুহূর্তে কর্মহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বাস মালিকেরা সাধ্য মতো সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের দেওয়া সেই টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁদের বেশির ভাগই নিম্ন মধ্যবিত্ত। ফলে, রেশন থেকে বিনামূল্যে কোনও সামগ্রী মেলে না। পাশাপাশি, একই কারণে মেলে না সরকার থেকে দেওয়া নানা প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য, খাদ্যসামগ্রী।
এই পরিস্থিতেই এ দিন করোনা-সতর্কতায় নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্ল্যাকার্ডে লেখা হয়, ‘খাবার নাই, খাবার চাই’। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। তার পরে ওঠে বিক্ষোভ।
শিবপুর বাস ইউনিয়নের সম্পাদক উদয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাংগঠনিক ভাবে ৫০ জন বাসকর্মীকে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা যথেষ্ট নয়, তা আমরা বুঝি। তাই, বাসকর্মীদের জন্য সরকারি সাহায্য দরকার।’’ বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাসকর্মীদের মধ্যে কাদের রেশন পেতে সমস্যা হচ্ছে, তা দেখা হবে। এমন সমস্যার অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’