এই ছবিই ফেরার অপেক্ষা। ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে জমায়েত। অল্প ভক্তদের নিয়ে সারতে হচ্ছে পুজোর অনুষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে ডাক পাচ্ছেন না বাজনাদারেরা। ফলে, বিপাকে পড়েছেন তাঁরা, দাবি নানা ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত বহু শিল্পীর। কাজ হারিয়ে মুশকিলে পড়েছেন বলে অভিযোগ গ্রামীণ এলাকায় জলসার সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কর্মীদেরও।
কালনা মহকুমায় রয়েছে প্রায় ৪০টি ব্যান্ডের দল। সেগুলির এক-একটির সঙ্গে যুক্ত ১৫-২৫ জন। কেউ বাঁশি, কেউ ড্রাম, কেউ বা অন্য বাদ্যযন্ত্র বাজান। শিল্পীরা জানান, সারা বছর বিয়ে, পৈতে, অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন শোভাযাত্রা-মিছিলে তাঁদের ডাক পড়ে। ভাড়া মেলে গ্রামগঞ্জের পুজোর অনুষ্ঠানেও। কিন্তু ‘লকডাউন’-এ একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কাজ। ফলে, অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। ধাত্রীগ্রামের এক ব্যান্ডের তরফে অশোক দাস বলেন, ‘‘গত দু’মাসে কোনও বরাত মেলেনি। বাজনা তুলে রাখতে হয়েছে ঘরে। ‘লকডাউন’ উঠে গেলেও হয়তো এখনই জাঁকজমক করে উৎসব-অনুষ্ঠানের। আমরা চাই, সরকার শিল্পীদের পাশে দাঁড়াক।’’ মন্তেশ্বরের শিল্পী রবিন ঘোষের বক্তব্য, ‘‘২০ বছর ধরে ব্যান্ডে কাজ করে আসছি। এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি।’’
হতাশ গ্রামীণ এলাকায় জলসায় গান করা বহু সঙ্গীতশিল্পীও। কালনার বাঘনাপাড়ার পরীক্ষিত ঘোষ বলেন, ‘‘ছোট ছোট্ট মঞ্চ বেঁধে গ্রামের জলসায় আমার মতো বহু শিল্পী গান করেন। এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তিত।’’ এই ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থাপক, আলোকসজ্জা বা মণ্ডপ তৈরির সঙ্গে যুক্তদেরও কাজ নেই এখন।
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু মানুষই নানা ভাবে বিপাকে পড়েছেন। সরকারি ভাবে রেশন দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আবার বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় থাকায় উপভোক্তাদের ভাতাও দ্রুত দেওয়া হচ্ছে। যে শিল্পীরা সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের কথা সরকার নিশ্চয় ভাববে।’’