প্রতীকী ছবি
মহকুমার পাঁচ ব্লকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাঁদের পাঠাতে হচ্ছে বর্ধমান বা দুর্গাপুরের ‘কোভিড’ হাসপাতালে। কালনার পরেস তাই এ বার কাটোয়াতেও ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরেই ২০ শয্যার এই হাসপাতাল তৈরি হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দ্রুত হাসপাতাল চালু করতে কী-কী পরিকাঠামো তৈরি করা দরকার, জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে মহকুমা হাসপাতালে সে সংক্রান্ত নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরের এক প্রান্তে নতুন একটি ভবনে এই ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল চালু করা হবে বলে চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। সেখানে যাতায়াতের রাস্তা-সহ সব কিছুই আলাদা থাকবে। অন্য ওয়ার্ডের সঙ্গে যাতে কোনও রকম সংযোগ না থাকে, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। কত জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে কী ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, দিন-দিন এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভিন্ রাজ্য থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। আক্রান্তদের বর্ধমান বা দুর্গাপুরে নিয়ে যেতে স্বাস্থ্যকর্মীদের হয়রানির পাশাপাশি সময় এবং অর্থও অপচয় হয়। রোগীদের অবস্থা আরও কাহিল হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘‘এই সমস্যা মেটাতে কাটোয়াতেই দিন দশেকের মধ্যে ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল চালু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার রতন শাসমল বলেন, ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল চালু করার বিষয়ে যা-যা দরকার, জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে সে বিষয়ে মৌখিক নির্দেশ পেয়েছি। সেইমতো ২০টি শয্যার হাসপাতাল করা হবে। তিনটি শয্যায় ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকবে।’’ মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল জানান, কাটোয়ায় দ্রুত ‘প্রি-কোভিড’ হাসপাতাল গড়ে উঠবে বলে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তাঁদের জানিয়েছেন।