Coronavirus in West Bengal

দু’শো সিলিন্ডার দিচ্ছে কারখানা

কিছু কারখানায় এখনও অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২১ ০৫:৫৯
Share:

এই কারখানাতেই এসেছিলেন জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র।

জেলার কোনও কারখানা অক্সিজেন সিলিন্ডার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে না দিয়ে মজুত করে রাখছে কি না, তা দেখতে অভিযান শুরু করল প্রশাসন। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে দুর্গাপুরের রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) বিভু গোয়েল। তিনি বলেন, ‘‘কারখানা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন ভর্তি দু’শো সিলিন্ডার বিনা মূল্যে দেবেন বলে জানিয়েছেন।’’

Advertisement

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে আপাতত শিল্প ক্ষেত্রে কিছু দিনের জন্য অক্সিজেন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারের তরফে সব শিল্প-কারখানার কাছে অবিলম্বে শিল্প ক্ষেত্রের অক্সিজেন চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের জন্য দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু কারখানায় এখনও অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিকে, অক্সিজেন নিয়ে জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ‘কালোবাজারি’র অভিযোগও উঠছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুরের ওই কারখানায় অক্সিজেন মজুত করে রাখা হয়েছে বলে খবর আসে। সেই মতো দফতরের আধিকারিকেরা কারখানায় গিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এর পরে সোমবার সকালে অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিজিৎ সোভলে, মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অর্ঘ্যপ্রসূন কাজি, মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল, পুলিশকর্তা-সহ অন্যদের নিয়ে কারখানায় যান জেলাশাসক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ বিনা মূল্যে দু’শো অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রশাসন সূত্রে জানান গিয়েছে, নিজেরা সিলিন্ডার দেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে না এলে আরও কযেকটি কারখানাতেও অভিযানের সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

জেলাশাসকের আর্জি, ‘‘অক্সিজেন সিলিন্ডার বা অন্য চিকিৎসা সামগ্রী যা আছে, প্রশাসন চায় কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই এগিয়ে এসে তা দিয়ে সহযোগিতা করুন। চিকিৎসার কাজে লাগুক। আক্রান্তেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’’ কারখানার আধিকারিক সতপাল বনসল বলেন, ‘‘আমরা সরকারের পাশে আছি। জেলাবাসীর পাশে আছি। চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের জন্য দু’শো সিলিন্ডার বিনা মূল্যে দেব আমরা।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সিলিন্ডারগুলি ‘মেডিক্যাল’ অক্সিজেনে পরিবর্তন করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ওই কারখানায় অক্সিজেন মজুত রাখার ক্ষেত্রে কোনও গোলমাল রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে জেলাশাসক বলেন, ‘‘এখনই বলা যাবে না। খাতাপত্র পরীক্ষা করে দেখে তবে সেটা বলা সম্ভব হবে।’’ এই মুহূর্তে জেলায় অক্সিজেনের অভাব নেই বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement