বর্ধমান স্টেশনে পরীক্ষা। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ রাজ্য থেকে ঘরে ফেরা মানুষজনের উপরে নজর রাখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বিডিও, বিএমওএইচদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিভিন্ন থানা টাস্ক ফোর্স গঠন করে গ্রামে-গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচার চালাবে। ভিন্ রাজ্য থেকে আসা মানুষজনকে খুঁজে পুলিশ স্বাস্থ্য দফতরের মাধ্যমে ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ করাবে। মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরও আশাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, ভিন্ রাজ্য থেকে আসা প্রতিটি ব্যক্তিকে খুঁজে বার করে নজরদারি করতে হবে।
করনোভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এ দিন প্রতিটি থানায় নির্দেশ পাঠান পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। বিকেলে জেলাশাসক বিজয় ভারতী ও পুলিশ সুপার ব্লক ও পুলিশের কাছে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্সে’ ওই নির্দেশ পৌঁছে দেন। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানান, শুক্রবার ফের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
পুণে থেকে আসা আউশগ্রামের এক ব্যক্তি জ্বর-কাশি নিয়ে সোমবার বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তাঁর দেহে করোনার কোনও চিহ্ন মেলেনি। ডেপুটি সিএমওএইচ (২) সুনেত্রা মজুমদার বলেন, “এ রকম হলে তো মেডিক্যাল কলেজ পাগল হয়ে যাবে!” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে আসা বাসিন্দার গ্রামে ঢুকতে ‘বাধা’র মুখে পড়ছেন অনেক জায়গায়। এসপি বলেন, ‘‘আতঙ্কের কিছু নেই। তাঁদের স্বাস্থ্য দফতরে নিয়ে গিয়ে ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ করাতে হবে।’’ এ দিন বিকালে কেরল থেকে আউশগ্রাম ২ ব্লকের ছোড়া কলোনির বাড়িতে ফেরেন এক যুবক। তাঁকে আজ, বুধবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই ব্লকের রামনগর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রচারও চালান স্বাস্থ্যকর্মীরা। পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্য সুপারভাইজ়ার শিখা গোস্বামী জানান, ভিন্ রাজ্য থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের খোঁজ নিতে বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এ দিন বর্ধমান স্টেশনেও স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির খুলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পরীক্ষা করা হয়েছে অনেক মানুষকে। জেলাশাসক বলেন, “বর্ধমান স্টেশন ভবনের একটি ঘরে এই শিবির চলবে। স্টেশন ম্যানেজারকে সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’’ স্টেশন ম্যানেজার জানান, টিকিট কাউন্টার, অনুসন্ধান কেন্দ্র থেকে যাত্রীদের হাতে প্রচারপত্র তুলে দেওয়া হবে।