ফাইল চিত্র
তেহট্টের করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে এক ট্রেনে ফিরেছিলেন, নদিয়ার হাসপাতালে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন কাটোয়ার চককবিরাজপুরের এক যুবতী। তাঁকে কৃষ্ণনগরের ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এর পরেই রবিবার কাটোয়ার ওই এলাকায় ভাগীরথীর ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চরকবিরাজপুরের ওই যুবতী ট্রেনে তেহট্টের করোনা আক্রান্ত পরিবারটির সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা তাঁর পরিবারকে ‘হোম কোয়রান্টিন’ করেছি। সেই সঙ্গে গ্রামের ফেরিঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই যুবতী দিল্লিতে কর্মরত। পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২০ মার্চ ফিরেছিলেন। এ দিন বিষয়টি জানাজানির পরে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর শরীরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও উপসর্গ মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেহট্টে করোনায় আক্রান্তদের বাড়িতে কাজ করেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিল্লেশ্বর গ্রামের বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, শনিবার সকালে তিনি গ্রামে ফিরতেই কিছু বাসিন্দা প্রতিবাদ করেন। তার পরে ওই ব্যক্তি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। ফোনও বন্ধ করে রেখেছেন। তিনি আশপাশেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের একাংশের। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে।’’