দোমড়ানো: দুর্ঘটনার পরে এমনই হাল বাসের। পানাগড়ে। নিজস্ব চিত্র
পরপর দু’টি দুর্ঘটনার তিন জনের মৃত্যু হল পানাগড়ে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পানাগড় বাইপাসের রেল ওভারব্রিজের কাছে। বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হয় দু’জনের। সন্ধ্যায় আবার পানাগড়ে দানবাবা মেলা লাগোয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকের ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়।
এ দিন বিকেলে কৃষ্ণনগর থেকে বেনাচিতির দিকে যাওয়া একটি বেসরকারি বাস লেন ভেঙে ঢুকে পড়ায় জাতীয় সড়কে রেল ওভারব্রিজের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। তাতে মৃত্যু হয় বাসের এক যাত্রী ও ট্রাকের চালকের। আহত হন আরও জনা তিরিশ বাসযাত্রী। তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহতদের পরে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়। রাত পর্যন্ত মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জাতীয় সড়কের বাইপাসে ওই অংশে বর্ধমানগামী রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উল্টো দিকে দুর্গাপুরগামী রাস্তায় এখনও কাজ চলছে। ফলে, রেল ওভারব্রিজ পেরিয়ে নামার পরে কিছুটা গিয়ে রাস্তা ‘সিঙ্গল লেন’ হয়ে গিয়েছে। সেই রাস্তাই কৃত্রিম ডিভাইডার দিয়ে ভাগ করে যাতায়াত চলছে। তাতে বিপদের সম্ভাবনা রয়েই গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা এড়াতে আন্ডারপাসের দাবি দুই মোড়ে
স্থানীয় বাসিন্দা কোহিনুর গঙ্গোপাধ্যায়, রচিন মজুমদারেরা জানান, এ দিন সে ভাবেই বাসের চালক লেন ভেঙে ঢোকেন। কিন্তু উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা ট্রাকের সামনে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারান। দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন দুর্গাপুরের এ-জোনের জয়দেব সাহানি। তিনি বলেন, ‘‘বাসটি জোরে চলছিল। লেন ভেঙে ঢোকার পরেই জোরে আওয়াজ হয়। মাথায় ধাক্কা খাই। আর কিছু মনে নেই।’’
এ দিন সন্ধ্যায় দানবাবা মেলার কাছে পানাগড় থেকে ইলামবাজারমুখী রাজ্য সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দোকানে ঢুকে পড়ে একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্থানীয় পালপাড়ার বাসিন্দা ডব্লিউ ওরাংয়ের (৩০)। জখম হন আর এক জন। পুলিশ গেলে তাদের দিকে ইট ছোড়েন স্থানীয় কিছু মহিলা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না করে পুলিশকর্মীদের একাংশ গাড়ি থেকে তোলা আদায় করে। এ দিন পালাতে গিয়েই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে তাঁদের দাবি। পুলিশ যদিও তা মানতে চায়নি।