বিচরণক্ষেত্র: কাজ শেষ হয়নি উদ্যানের। নিজস্ব চিত্র
ঘটা করে রূপনারায়ণপুরের প্রস্তাবিত শিশু উদ্যানের শিলান্যাস করেছিল সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি। বাসিন্দারা ভেবেছিলেন তাঁদের বহু দিনের আশা পূরণ হতে চলেছে। এত দিনে খেলার মাঠ মিলল, এই ভেবে উল্লসিত হয়েছিল শিশুরাও। কিন্তু কোথায় কী! শিল্যানাসের পরে বছর ঘুরলেও উদ্যানের চারপাশে পাঁচিল তুলে গেট বসানো ছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি। তাই এখনও শিশুদের বিকেল কাটছে বাড়ির উঠোন বা পাড়ার বাগানে।
রূপনারায়ণপুর এলাকায় শিশু উদ্যান তৈরির দাবি বহু দিনের। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বদলের সঙ্গে সঙ্গে কর্তাদের কাছে ফের দাবি জানানো হয়। বাসিন্দাদের দাবি মেনে গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাঙামাটিয়া অঞ্চলে প্রায় এক বিঘা জমিতে প্রস্তাবিত শিশু উদ্যানটির শিলান্যাস করা হয়। বারাবনির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানিক উপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত উদ্যানটির শিলান্যাস করেন বর্তমান বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের মুখে উদ্যানটির শিলান্যাস পর্ব শেষ হওয়ার পরে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল মজুমদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্রীড়া সরঞ্জাম বসিয়ে উদ্যানটি পুরোপুরি শিশুদের খেলার উপযোগী করে তোলা হবে। খরচ সামলাতে স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের কাছেও আবেদন রেখেছিলেন। পাঁচিল তুলে গেট বানিয়ে প্রাথমিক কাজও শুরু হয়। কিন্তু ওই পর্যন্তই।
সম্প্রতি এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ইট-বালি, আবর্জনায় ভরে গিয়েছে উদ্যানটি। কোনও ক্রীড়া সরঞ্জাম বসানো হয়নি। ভিতরে চরছে গরু-ছাগল। মাঠও কঙ্কালসার। স্থানীয়দের আবার অভিযোগ, পাঁচিল ঘেরা উদ্যানটি এখন রাতের অন্ধকারে দুস্কৃতীদের আড্ডাখানা হয়ে উঠেছে। মদ, জুয়ায় ঠেক বসছে।
কেন কাজ শেষ হল না? শ্যামলবাবুর জবাব, ‘‘কিছু সমস্যা থাকায় নির্মাণের কাজ থমকে গিয়েছিল।’’ উদ্যানটির ঠিক পাশেই সরকারি খাসজমিতে এক কোটি টাকারও বেশি খরচে একটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের আশ্বাস, ‘‘দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’