—প্রতীকী চিত্র।
রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূলের আসানসোলের পুরপ্রতিনিধি অশোক রুদ্র তোপ দাগলেন দলেরই রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাপসের বিরুদ্ধে উপদল তৈরি, কোন্দলে লিপ্ত থাকার অভিযোগ করেন অশোক। যদিও তাপসের মন্তব্য, এ সব বক্তব্য আসলে শিশুসুলভ।
মঙ্গলবার অশোক বলেন, “তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় দলের মধ্যে উপদল তৈরি করছেন, যা কার্যত গোষ্ঠী কোন্দলেরই নামান্তর। উনি বিরত না হলে পরে আমি ব্যবস্থা নেব!” কিন্তু কোন প্রেক্ষিতে অশোকের এমন মন্তব্য? ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অশোকের দাবি, তাপস রানিগঞ্জের বিধায়ক। কিন্তু অশোককে না জানিয়ে বার্নপুরে তাঁর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন তাপস। এমনকি, আয়োজকদের নির্দেশ দিচ্ছেন, ওই সব অনুষ্ঠানে যেন অশোককে আমন্ত্রণ জানানো না হয়। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অশোকের সংযোজন: “এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে এই ঘটনায় আমি অপমানিত। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
এ দিকে, অশোকের এই মন্তব্যের কথা জানাজানি হতেই তাপসের বক্তব্য, “আমি কি কোনও তঞ্চকতা করেছি? আমি কি সার্টিফিকেট জাল করেছি যে, ওঁর কথার জবাব দিতে হবে আমাকে। ওঁর সম্পর্কে যত কম বলা যায়, ততই মঙ্গল।” বিধায়কের আরও দাবি, বার্নপুরের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অর্থ, গোষ্ঠী-কোন্দল নয়। তাঁকে আয়োজকেরা আমন্ত্রণ জানান বলেই তিনি জান। তাপসের সংযোজন: “পুরপ্রতিনিধি কি এলাকার জমিদার, যে তাঁকে জানাতে হবে।”
তৃণমূলের দুই পুরনো নেতার বিবাদ প্রকাশ্যে আসার পরেই আসরে নেমেছে বিজেপি-ও। দলের জেলা মুখপাত্র বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “ওঁদের দলে এখন এই কোন্দল ও কাটমানিই আছে। মানুষ ওঁদের গ্রহণ করেন না।” বিজেপির বক্তব্যে আমল দিচ্ছেন না তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তবে তিনি বলেন, “বিধানসভায় রয়েছি। দু’জনকেই প্রকাশ্য বিবৃতি না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফিরে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।”