চলছে ডাল বিলি। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের অঙ্গদপুরে। নিজস্ব চিত্র
নিখরচায় গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে মঙ্গলবার থেকে পশ্চিম বর্ধমানে ডাল দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে রানিগঞ্জের কিছু এলাকায় তা মেলেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ডাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ‘ড্রিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলার’ সুজিত হালদার জানান, জেলায় ৯ লক্ষ ৯৭ হাজার উপভোক্তা এই ব্যবস্থার সুযোগ পাবেন। জেলায় ২২৮ টন ডাল মজুত করা হয়েছে। জেলায় মোট ৬৯১ জন রেশন ডিলার আছেন। তাঁদের মাধ্যমে উপভোক্তাদের কাছে ডাল সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ দিন রানিগঞ্জের জেকে নগর, চলবলপুর, জেমারি, বেলিয়াবাথান ও নূপুরে ডাল মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন উপভোক্তাদের একাংশ। চলবলপুরের শিব বাউরি, বেলিয়াবাথানের দিলীপ বাউরি, জেকেনগরের জগজীবন রামেরা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার ডাল মেলেনি।’’
‘এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশন’-এর রানিগঞ্জ শাখার সম্পাদক শ্যামল মণ্ডল জানান, মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ডিলারদের কেরোসিন তেল দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই তেল আনতে যাওয়ায় কয়েকজন ডিলার ডাল বিলি করেননি এ দিন। ব্লক প্রশাসন এবং খাদ্য ও সরবরাহ দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব ডিলারকে দ্রুত ডাল বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঁচ জন ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে তাঁরা আজ, বুধবার থেকে ডাল বিলি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’’
দুর্গাপুরে ডাল দেওয়া নিয়ে তেমন কোনও অসন্তোষের খবর মেলেনি এ দিন। নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে উপভোক্তারা ডাল নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। রেশন দোকানগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, তিন মাস ধরে ডাল দেওয়া হবে বলে আপাতত জানিয়েছে খাদ্য দফতর। এ মাসে মুসুর ডাল দেওয়া হচ্ছে। তবে জুলাই ও অগস্টে মুগ ডাল দেওয়া হবে।
অঙ্গদপুরের রেশন ডিলার সৌমেনরঞ্জন যশ জানান, প্রায় ৯৫ শতাংশ উপভোক্তা আগেই চাল, গম নিয়ে চলে গিয়েছেন। এ দিন শুধু ডাল নিতে এসেছিলেন তাঁরা। রেশন ডিলারদের একাংশ জানিয়েছেন, ডিজিটাল রেশন কার্ড দিয়ে নির্দিষ্ট যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রাহকের নাম নথিভুক্ত করতে হয়। ইন্টারনেটের সমস্যার জন্য কিছু রেশন দোকানে ডাল দেওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে বলে অভিযোগ।