প্রতীকী ছবি।
স্বামী-সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়ে এক বধূকে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কাঁকসার বনকাটিতে। অভিযুক্তের আত্মীয় এক তৃণমূল নেতা তাঁকে মারধরও করেছেন বলে অভিযোগ মহিলার। তিনি দুর্গাপুর আদালতে এ নিয়ে মামলা করেছেন। আদালতের তরফে কাঁকসা থানাকে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তেরা অবশ্য দাবি করেন, শাসকদলের একাংশের চক্রান্ত রয়েছে এর পিছনে।
বনকাটির শ্যামবাজার কলোনির ওই বধূ অভিযোগ করেন, স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ মৈত্রের কাছ থেকে একটি জায়গা কেনেন তাঁর স্বামী। সেই জায়গার দামও দেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিনোদ জমিটি রেজিস্ট্রি করছিল না। বধূর অভিযোগ, বিনোদ তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে সাড়া না মেলায় তাঁর স্বামী-সন্তানকে খুন করার হুমকি দেয়। এ ভাবে হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কাউকে বললে স্বামী-সন্তান-সহ তাঁকে খুন করারও হুমকি দেয় বিনোদ, অভিযোগ মহিলার।
মহিলার দাবি, গত ২৫ মে বিনোদ ফের ধর্ষণ করার পরেই তিনি অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযুক্তের আত্মীয়, স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমর মণ্ডল তাঁর উপরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ও মারধর করে বলেও অভিযোগ তাঁর। তিনি আরও দাবি করেন, অভিযুক্তেরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কাঁকসা থানায় অভিযোগ করে ফল হবে না বলে আশঙ্কা ছিল তাঁর। তাই ২৬ মে দুর্গাপুর আদালতে মামলা করেন।
মহিলা অভিযোগ করেন, মামলা করার পরে অমরবাবু তাঁকে ফের মারধর করেন। খুনের হুমকিও দেন। সোমবার কাঁকসা থানায় ওই বধূ অভিযোগ করেন, অভিযুক্তের পরিবারকেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টায়নি। উল্টে, অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।
যদিও অমরবাবুর পাল্টা দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দলেরই একাংশ আমাদের বদনাম করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ বিনোদকে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও। তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’ পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশমতো পদক্ষেপ করা হবে।