Street lights

বিল-সমস্যা, অন্ধকারেই দাঁড়িয়ে একশো পথবাতি

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-য় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) তরফে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে পথবাতিগুলি বসানোর কাজ শুরু হয়। মাস ছয়েকের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৪
Share:

ডাকবাংলো এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।

প্রায় সাত বছর হতে চলল। কাঁকসার ডাকবাংলো মোড় থেকে ক্যানালপাড় পর্যন্ত বসানো হয়েছিল একশোটি পথবাতি। আজও সেই পথবাতিগুলি জ্বলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে সেগুলি। দ্রুত আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হোক। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি সমস্যা খতিয়ে দেখে, তার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। তবে বিল-সমস্যায় এগুলি জ্বলেনি বলে স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-য় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) তরফে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে পথবাতিগুলি বসানোর কাজ শুরু হয়। মাস ছয়েকের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার দু’পাশে রয়েছে বহু জনবসতি। রাতবিরেতে বহু মানুষ যাতায়াত করেন এই পথ দিয়ে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পথবাতির দাবি দীর্ঘদিনের। তাঁদের আক্ষেপ, দাবি পূরণ হলেও, সেই অন্ধকার পথেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার থেকে অবৈধ ভাবে সংযোগ নিয়ে সেগুলি চালু করেছিলেন। বিদ্যুৎ দফতর খবর পেয়ে সে সব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আপাতত ওই স্তম্ভগুলি শুধু দাঁড়িয়ে আছে। ডাকবাংলোর হৃষিকেশ বসাক, প্রীতম্বর পালেরা বলেন, “পুরো উৎসবের মরসুমে এই রাস্তা দিয়ে অন্ধকারে যাতায়াত করতে হয়েছে। পথবাতির স্তম্ভগুলিতে মরচে ধরতে শুরু করেছে। কেন এগুলি চালু করা হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না।”

এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সে সময় কাঁকসা পঞ্চায়েতের তরফে এলাকার মূল রাস্তাগুলিতে পথবাতি বসানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি বলেন, “কিন্তু পথবাতিগুলি জ্বালানো হলে, যে বিদ্যুৎ বিল আসবে, তা দেওয়ার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের। তার পরে কী হয়েছে, আমার জানা নেই।”

Advertisement

কাঁকসা পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পথবাতিগুলির বিদ্যুতের বিল মেটানোর তহবিল পঞ্চায়েতের কাছে নেই। সে কারণে সেগুলি চালু করা যায়নি। এ বিষয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “পঞ্চায়েতের তহবিলে বিদ্যুতের বিল মেটানোর মতো অর্থ না থাকায়, সেগুলি চালু করা যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা যদি ‘পথবাতি কর’ দিতে ইচ্ছুক থাকেন, তা হলে সেগুলি চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement