প্রতীকী ছবি।
ভোরে বুকে ও পেটে ব্যথা নিয়ে কালনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কলেজ ছাত্র অভিজিৎ দাস (২২)। অভিযোগ, টানা ছ’ঘণ্টা চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হয় তাঁকে। পরে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ছাত্রেক চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেফার করে দেওয়া হয়।
বিকেলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ জানান কালনা কলেজের এক দল ছাত্র। যদিও টিএমসিপি-র কয়েক জন নেতার হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ বড় আকার নেয়নি। এ দিন বেশ কিছু পোস্টার নিয়ে ওই পড়ুয়ারা হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করে। কারও পোস্টারে লেখা অভিজিৎ দাস বিনা চিকিৎসায় কেন মারা গেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জবাব দাও, আবার কোথাও লেখা ছিল হাসপাতাল সুপারের বহিষ্কার চাই। ক্ষুব্দ ছাত্রছাত্রীরা জরুরি বিভাগেও ঢুকে পড়েন। তখন সেখানে হাজির ছিলেন হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই-সহ দুই চিকিৎসক।
পড়ুয়ারা অভিযোগ করেন, কালনা কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল ধর্মডাঙা গ্রামের অভিজিৎ। ভোর পাঁচটায় ভর্তি হওয়ার পরে টানা ছ ঘন্টা তাঁর কোনও চিকিৎসা হয়নি। ক্ষোভবিক্ষোভের মাঝেই ছাত্রছাত্রীদের বাইরে বের করে আনেন টিএমসিপি নেতারা। এক নেতা অমিত মোদক বলেন, ‘‘ক্ষোভ প্রকাশ করতে ছাত্রছাত্রীরা আসেননি। কলেজের এক ছাত্রের মৃত্যুর ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে এসেছিলেন।’’
তবে গাফিলতিতে ওই কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ হাসপাতাল। চিকিৎসকেরা জানান, বুকে এবং পেটে ব্যাথা নিয়ে সকাল ছটা পঞ্চাশ মিনিট নাগাদ শল্য বিভাগে ভর্তি হন অভিজিৎ। অবস্থার অবনতি হওয়াই অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। সুপারের দাবি, ওই ছাত্রের চিকিৎসা করেছিলেন এক বিশেষজ্ঞ। যদিও মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ মহকুমা হাসপাতাল দ্রুত রেফার করে দিলে এমনটা হতো না।