কালনায় হাসপাতালের উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে মহকুমা হাসপাতালে। সেই হাসপাতাল চত্বরেই বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হল কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। তবে এই নতুন হাসপাতালেও চিকিৎসক সঙ্কট হবে না তো, আশঙ্কা এলাকাবাসীর। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হাসপাতাল চালুর ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নত হবে। তা ছাড়া এখানে রয়েছে উন্নত পরিকাঠামোও।
মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে অন্তত সাতটি পদে চিকিৎসক নেই। দু’জন করে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে মেডিসিন ও শিশু বিভাগে। গত মাস তিনেক ধরে মেডিসিন বিভাগে নেই এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এই বিষয়ে অন্য বিভাগের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকলেও তিনি বর্তমানে অসুস্থ। ছুটিতে রয়েছেন। ফলে অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকেরা মেডিসিন বিভাগের কাজকর্ম কোনও রকমে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
এ দিন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ লাইন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিমোটের মাধ্যমে ওই হাসপাতাল চত্বরেই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন। সেই সময়ে হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত ছিলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নতুন হাসপাতালেও চিকিৎসক সঙ্কটের ফলে পরিষেবায় সমস্যা হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয়ে রোগীর পরিজনেরা। তবে হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইয়ের দাবি, ‘‘কোনও সমস্যা হবে না। পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এর ফলে উপকৃত হবেন। চিকিৎসকেরও সঙ্কট হবে না।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিসিন ও শিশু বিভাগটি মহকুমা হাসপাতালেই থাকছে। অন্যান্য বিভাগগুলি চলে আসবে নতুন হাসপাতালে। ল্যাপারোস্কপি, রেডিওলজি, ফেকো সার্জারি, আলট্রাসনোগ্রাফি, স্ক্যান-সহ কয়েকটি নতুন বিভাগ তৈরি হয়েছে। রয়েছে একটি বড় অপারেশন থিয়েটরও। এ ছাড়া পুরনো বিভাগগুলিরও পরিকাঠামোগত উন্নতি ঘটানো হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কৃষ্ণচন্দ্রবাবুর আশা, ‘‘নতুন হাসপাতালটি চালু হওয়ায় রোগীদের স্থানান্তরিত করার প্রয়োজনও কম হবে।’’
এ দিন এই হাসপাতালের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে ভাতারের হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১২০টি করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশা, ‘‘এর ফলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের উপরে চাপ কমবে। উপকৃত হবেন মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা।’’