সভার পরে ভিড় এক স্টলে। নিজস্ব চিত্র
সকাল থেকেই জেলার নানা প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল লোকজনের আনাগোনা। মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমানের সাধনপুরে মাটিমেলার হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামল, তখন ঘড়ির কাঁটায় দেড়টা। আগমনী-বার্তার মতো বেজে উঠল বারোটি ঢাক। উলু ও শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হল মেলার মাঠ।
মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের জন্য গোটা মাঠ জুড়ে নীল-সাদা বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল। মাঠের ভিতরে বেশ কয়েকটি জায়গায় রাখা ছিল নীল-সাদা বেলুন। সঙ্গে ছিল চকমকি কাগজ। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের হাতে ‘নির্মল জেলা’ পুরস্কার দিতেই বেলুন ও চকমকি কাগজ উড়ল। তার আগে মঞ্চে এসেই মুখ্যমন্ত্রী চলে যান কৃষকদের মঞ্চে। সেখানে তিনি কৃতী কৃষকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তখন গোটা মাঠ জুড়ে বাজছে কন্যাশ্রী-গান, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ‘মাটি’ কবিতা। কৃষকদের মঞ্চ থেকে চলে গেলেন বাউল মঞ্চে। সেখানেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।
ততক্ষণে মাঠের বেশির ভাগটাই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ১১৬টি স্টলও সেজে উঠেছে। মাঠের দু’টি জায়গায় এলসিডির ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’-এর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। এ দিন মঞ্চ থেকে ১০৩ জনকে ‘কৃষক সম্মান’ দেওয়া হয়। তার বেশিরভাগই মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে তুলে দেন। ওই সব কৃষকদের আরও ভাল করে চাষাবাদ করার পরামর্শ দেন তিনি।
তবে এ দিনের অনুষ্ঠান নিয়ে দুর্ভোগের মধ্যেও পড়েন অনেকে। অন্য দিনের চেয়ে বাস কম চলায় অনেক যাত্রীকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সকাল থেকে যান নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্ত থাকায় শহরে ঢুকতে গিয়ে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের স্নাতকস্তরের পড়ুয়াদের একাংশ।
মুখ্যমন্ত্রী উৎসবের উদ্বোধন বোলপুরের পথে রওনা দিতেই মাঠের ভিড় আছড়ে পড়ে ‘আহারে বাংলা’ স্টলে। সভার শেষে চপ-সিঙাড়ায় কামড় দিয়ে ধীরেসুস্থে বাড়ির পথ ধরলেন অনেকে। কেউ-কেউ গেলেন অন্য স্টলে। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই গিয়েছেেন, ‘‘এটা উৎসবের মরসুম।’’