বালিঘাট নিয়ে সংঘর্ষে জখম পাঁচ জন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাটটি খোলার জন্য ইজারাদার ও তাঁদের লোকজন বুধবার রাতে বৈঠক করেন। কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুরজ মহম্মদ শেখ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০১:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি

বালিঘাট খোলার বিষয়ে বৃহস্পতিবারই জেলা থেকে নির্দেশ পৌঁছেছে মহকুমাশাসকের দফতরে, এমনই জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে। কিন্তু তার আগে বুধবার রাতে কালনার কোম্পানিডাঙা লাগোয়া বালিঘাটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধল কয়েক জন ইজারাদার ও এলাকাবাসীর একাংশের মধ্যে। ঘটনায় দু’পক্ষের পাঁচ জন জখম হয়েছেন। তাঁরা কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাটটি খোলার জন্য ইজারাদার ও তাঁদের লোকজন বুধবার রাতে বৈঠক করেন। কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুরজ মহম্মদ শেখ। তাঁর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। সুরজের অভিযোগ, ‘‘অবৈধ উপায়ে ওই ঘাটটি চলে। এলাকাবাসীর সঙ্গে আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম। রাতে একটা দোকানে বসেছিলাম। সেখানেই আমার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান ইজারাদারেরা।’’ সুরজের পরিবার ন’জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কালনা থানায়। গ্রামবাসীর একাংশের অভিযোগ, আরও দু’জন বাসিন্দার উপরেও হামলা চালানো হয়। তাঁদের এক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ইজারাদারদের যদিও পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের উপরেই হামলা চালানো হয়েছে। ইজারাদারদের তরফে তোতাবুল শেখ, জুলু হোসেন শেখ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তোতাবুলের অভিযোগ, ‘‘শহরের ব্যবসায়ী সুব্রত পাল ঘাট নিজের দখলে আনতে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছেন।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘যেখানে অশান্তি হয়েছে বলে শুনেছি, সেখানে আমার ইটাভাটা রয়েছে। তবে বালিঘাটের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ অশান্তির ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানায়। বৃহস্পতিবার এলাকায় পুলিশ টহল দেয়।

Advertisement

গ্রামবাসীর একাংশের অভিযোগ, ঘাটটি বৈধ হলেও তা চালানো হয় অবৈধ ভাবে। যন্ত্রের মাধ্যমে পাইপে করে নদীর তলার বালি তুলে ডাম্পারের মাধ্যমে রাজ্যের নানা প্রান্তে পাঠানো হয়। ভারী গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তা ভাঙছে। রাতে ঘুম নষ্ট হচ্ছে বাসিন্দাদের। পাশাপাশি, বাড়ছে নদী ভাঙনের আশঙ্কাও। এই কারবার বন্ধের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের নানা স্তরে চিঠিও পাঠানো হয় বলে তাঁরা জানান। এলাকায় পোস্টারও পড়ে। তবে ইজারাদারদের তরফে তোতাবুলের দাবি, ‘‘আমরা বৈধ ভাবেই ব্যবসা করি।’’ বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক (কালনা) নীতেশ ঢালি।

ঘটনাচক্রে, আজ, শুক্রবার থেকে জেলা প্রশাসন বালি ঘাটগুলি খোলার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তা মহকুমাশাসকদের কাছে পৌঁছয় বৃহস্পতিবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement