জায়গা নিয়ে দু’দলের সংঘর্ষে জখম গুসকরায়

যে কোনও অজুহাতে দ্বন্দ্ব যেন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে গুসকরায়। রবিবার রাতে এক চিলতে জায়গা নিয়ে হাতাহাতি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটল গুসকরার সুশীলা গ্রামের আঁকুরে পাড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৭
Share:

যে কোনও অজুহাতে দ্বন্দ্ব যেন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে গুসকরায়।

Advertisement

রবিবার রাতে এক চিলতে জায়গা নিয়ে হাতাহাতি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটল গুসকরার সুশীলা গ্রামের আঁকুরে পাড়ায়। গোলমালে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বর্তমান ও প্রাক্তন পুরপ্রধানেরও। ঘটনায় তৃণমূলের এক কাউন্সিলর-সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক কিশোর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল জানান, পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সোমবার রাতে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ উভয় গোষ্ঠীর দু’জন করে মোট চার জনকে গ্রেফতারও করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুশীলা আঁকুড়ে পাড়ায় এক চিলতে জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অন্নপূর্ণা ও কালী পুজো হয়ে আসছে। এ বছর বাঁশের খুঁটির বদলে সিমেন্টের খুঁটি বসানোর উদ্যোগ নেন উদ্যোক্তারা। রবিবার রাতে সেই খুঁটি বসানোর সময় স্থানীয় কাউন্সিলর সনাতন বেসরার নেতৃত্বে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই কাউন্সিলর ওই জায়গায় দলীয় দফতর খুলতে চাইছিলেন। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। হাতাহাতি বাধে। তারপরেই পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায় ও কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে সেখানে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই পুজো উদ্যোক্তারা গুসকরা শহর সভাপতি তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান চঞ্চলবাবুর অনুগামী। তাঁর কথায়, “একটি জায়গা দখল করে দলীয় অফিস করতে চেয়েছিলেন পুরসভার নেতারা। তাতে পুজো উদ্যোক্তা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেওয়ায় গোলমাল করে ওই নেতার দলবল। তাতে এক কিশোর গুরুতর জখম হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।” চঞ্চল-গোষ্ঠীর অভিযোগ, সিঙ্গুর দিবস উপলক্ষ্যে চঞ্চলবাবু স্থানীয় একটি স্কুলে বৈঠক করেন। সেই বৈঠক বানচাল করার জন্য কয়েকজন যুবক বিক্ষোভ দেখান। তাতে লাভ না হওয়ায় পাড়ার সমস্যাতেও জোর করে ঢুকে পড়ল পুরসভার কর্তারা।

Advertisement

নিত্যানন্দবাবু বলেন, “ওই বৈঠকে দু’জন কাউন্সিলর সহ হাতে গোনা কয়েকজন হাজির ছিলেন বলে শুনেছি। সে জন্য ওই বৈঠক নিয়ে মাথায় ঘামাচ্ছি না। তাছাড়া আমি জ্বরে কাবু বলে কোথায় কী গোলমাল হয়েছে, ঠিক বলতে পারব না।” পুরপ্রধানের কথায়, “বেআইনি নির্মাণ আটকাতে গিয়ে পুর সদস্যের উপর কয়েকজন চওড়া হয়েছে বলে খবর পাই। আমাকে পুলিশের সাহায্য নিয়ে কাউন্সিলরকে উদ্ধার করতে হয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement