ভাঙচুর মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে জনা সাতেক জখম হলেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের শ্রীগ্রামে। মঙ্গলবার রাতে বিজেপির কর্মীরা দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। বিজেপি কর্মীদের মারধর করে চারটি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তা অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাদের কর্মীদেরই মারধর করা হয়েছে। গোলমালে জড়িত অভিযোগে রাতেই দু’পক্ষের মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সন্ধ্যায় এলাকায় বিজেপির একটি সভা ছিল। তা শেষে বাড়ি ফেরার সময়ে রাস্তায় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা, তা হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। ইট-পাটকেলও ছোড়া হতে থাকে বলে আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি।
আহত বিজেপি কর্মী মানব ঘোষের অভিযোগ, ‘‘বুথ কমিটির সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে শ্রীগ্রামে তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের রাস্তা আটকায়। ‘বিজেপি করা যাবে না’ বলে শাসাতে থাকে ওরা। প্রতিবাদ করাতেই আমাদের মারধর শুরু করে দেয়। বাইক থেকে নামিয়ে লাঠি দিয়ে মারে। ওদের ছোড়া ইটে আমার মাথা ফেটে যায়।’’ বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ-সভাপতি (কাটোয়া) অনিল দত্তের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল জনসমর্থন হারিয়ে ভয় পেয়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে, চারটি বাইক ভেঙে দিয়েছে। এক জনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।’’
কেতুগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তরুণ মুখ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে এলাকায় অশান্তি পাকাতে চাইছে। সাধারণ মানুষ তা জানতে পেরেই প্রতিবাদ করেছেন। আমাদের কেউ ওদের মারধর করেনি।’’
পুলিশ জানায়, ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় গিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ধৃতদের মধ্যে তিন জন বিজেপি কর্মী ও দু’জন তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। বুধবার কাটোয়া আদালতে তোলা হলে দু’জনের জামিন মঞ্জুর ও তিন জনকে এক দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।