কোকওভেন থানার সামনে জমায়েত। নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থার (এসবিএসটিসি) সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে সিটু। প্রতিবাদে সোমবার দুর্গাপুরে কোকওভেন থানায় বিক্ষোভ দেখায় সিটু। এই ভোটেই আবার আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠী আলাদা ভাবে নিজেদের প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন তুলেছেন।
এসবিএসটিসি-র সাতটি ডিপোয় মে মাসের প্রথম দিকে সমবায় নির্বাচন হওয়ার কথা। এর মধ্যে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া ডিপোয় ৭ মে, আরামবাগ, কালনা ও বর্ধমানে ১১ মে এবং আসানসোল ও দুর্গাপুরে ১৩ মে নির্বাচনের দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আসন সংখ্যা ১৫। মোট ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় ৭৭৩ জন। সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র তোলার দিন।
সিটুর অভিযোগ, এ দিন দু’দফায় মনোনয়ন তুলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাদের প্রার্থীরা। মারধর করা হয় ছ’জনকে। সিটু নেতা তথা সিপিএমের দুর্গাপুর পূর্ব ২ জোনাল সম্পাদক পঙ্কজ রায়সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দন সাহার নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। মারধর করা হয় আমাদের ছ’জন কর্মীকে।’’ প্রতিবাদে থানায় সিটুর পক্ষ থেকে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। লিখিত অভিযোগও করা হয়। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর চন্দনবাবু দাবি করেন, ‘‘থানায় বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে অনেকে থাকতে পারেন। তবে এসবিএসটিসি ডিপোয় মনোনয়ন তোলার মতো লোকজন এ দিন সিটুর ছিল না। তাই আমাদের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়া বা মারধরের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।’’
এ দিন সিটুর নামে কোনও মনোনয়ন না তোলা হলেও আইএনটিটিইউসি-র তরফে মোট ৩০টি মনোনয়নপত্র তোলা হয়। আসনের দ্বিগুণ সংখ্যক মনোনয়নপত্র তোলায় আইএনটিটিইউসি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের এসবিএসটিসি ডিপোয় উত্তম মুখোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণ ঘোষ নামে দুই আইএনটিটিইউসি নেতার অনুগামীদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। দুই গোষ্ঠী এ দিন ১৫টি করে মনোনয়ন তুলেছে। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন। তার আগেই যদি আইএনটিটিইউসি-র দুই গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় আসতে পারে সেক্ষেত্রে ভোট হওয়ার প্রয়োজন হবে না। দুই গোষ্ঠীর দুই নেতা অবশ্য প্রকাশ্যে কোনও দ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, আলোচনার রাস্তা খোলা আছে। নিজেদের মধ্যে বসে কথাবার্তার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে।