—প্রতীকী ছবি।
ইডি ও এনআইএ-র পর এ বার সিআইএসএফ (কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী)। আসানসোলে কয়লার ডিপোতে হানা দেওয়ার সময় বাধার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। শনিবার এই ঘটনার পরেই সিআইএসএফের পক্ষ থেকে জামুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একটি সিজ়ার লিস্টও জমা দিয়েছেন তারা।
সিআইএসএফ জামুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছে, টহলদারি দেওয়ার সময় দু’টি কয়লা ভর্তি ট্র্যাক্টরকে তাঁরা রাতের বেলায় দেখতে পান। ট্র্যাক্টর দু’টিকে দাঁড়াতে বলা হয়। কিন্তু ট্র্যাক্টর দু’টি না দাঁড়িয়ে দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। উপায় না দেখে সিআইএসএফ জওয়ানেরাও ট্র্যাক্টর দু’টিকে ধাওয়া করেন। সিআইএসএফ সূত্রে খবর, ট্র্যাক্টর দু’টি আসানসোলের জামুরিয়া থানার অন্তর্গত চুরুলিয়া এলাকার একটি কারখানায় প্রবেশ করে। সেখানে গিয়েই ট্র্যাক্টর দু’টিকে ধরা হয়।
এর পর সিআইএসএফ জওয়ানেরা দুই ট্র্যাক্টর চালকের কাছ থেকে কয়লার কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাঁরা কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, কেন পুলিশের গাড়িতে করে সিভিল পোশাকে জওয়ানেরা এসেছেন? জামুরিয়া থানায় আগে থেকে না জানিয়ে কেন তাঁরা হানা দিয়েছেন? সেই প্রশ্নও করেন ওই কারখানার কর্মীরা। শেষমেশ সিআইএসএফের পক্ষ থেকে একটি সিজ়ার লিস্ট এবং অভিযোগপত্র জামুরিয়া থানায় জমা দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কয়লা ভর্তি পাঁচটি ট্রাক, খালি ট্রাক্টর, তিনটি জেসিবি মেশিন-সহ প্রায় ২০০ মেট্রিক টন কয়লা বাজিয়াপ্ত করেছেন সিআইএসএফের জওয়ানেরা।
এই প্রসঙ্গে কারখানার পক্ষ থেকে শেখ মইউদ্দিন এবং শেখ আব্দুল মুন্নান বলেন, “কলকাতা পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি করে এসে কারখানায় কাগজপত্র যাচাই করতে শুরু করেন জওয়ানেরা এবং গাড়ির চালককেও তাঁরা মারধর করেন। পাশাপাশি, আমাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা তাঁরা চান।” তাঁদের আরও অভিযোগ, তাঁদের কাছে কয়লার সমস্ত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় জামুরিয়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।