কার্তিক পুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে তিনটি ক্লাবের মধ্যে শনিবার রাতে গোলমালের ঘটনায় দোকান ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল কাটোয়ায়। গোলামালে জখম হন দু’জন যুবক। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি।
মণ্ডলহাটের ঘোষপাড়ায় একটি পুকুরের সামনে ও বাঁ দিকে দু’টি ক্লাব রয়েছে। অদূরেই পানুহাটে রয়েছে আরও একটি ক্লাব। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে পুকুরের সামনে থাকা ক্লাবটির শোভাযাত্রা যাওয়ার কথা ছিল। ওই এলাকার অন্য একটি ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, শোভাযাত্রার জন্য ওই ক্লাবের লোক জন তাদের আলোকসজ্জা খুলে নিতে বলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল-বচসা বাধে।
পুকুরের বাঁ দিকে থাকা ক্লাবটির সদস্য সুভাষ দেবনাথ, পরিমল দেবনাথদের অভিযোগ, ঘোষপাড়ার ওই ক্লাবের পাঁচ জন সদস্য প্রথমে অর্চনা দেবনাথের বাড়ি ভাঙচুর করে। অর্চনাদেবীর অভিযোগ, ‘‘কানের দুল ও গলার হার কেড়ে নিয়ে যায় ওরা।’’ অভিযোগ, ভাঙচুর চালানো হয় সুভাষ দেবনাথ ও পরিমল দেবনাথের বাড়ি ও দোকানে। মারধরে জখম হন দীপক দেবনাথ নামে এক জন। রবিবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, পুকুরের বাঁ দিকে থাকা ক্লাবঘরের দরজা ও ভিতরের টেলিভিশন সেটটি ভাঙা। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কয়েকটি বোমও ছোড়া হয় ঘোষপাড়ায়। যদিও অভিযুক্ত ক্লাবের সদস্য পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আমার বাড়িতে কয়েক জন বাঁশ হাতে চড়াও হয়।’’
ঘোষপাড়ার এই দু’টি ক্লাবের রেশ এসে পড়ে পানুহাটের ক্লাবটিতেও। ওই ক্লাবের সদস্য পবিত্র দাস জানান, রাতে ঠাকুর দেখতে গেলে চার জন দুষ্কৃতী বাঁশ হাতে চড়াও হয়। এলাকায় মোতায়েন সিভিক ভালন্টিয়ারেরা দু’জন জখমকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। তবে প্রথামিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্টো দিকে, এই ঘটনার পরে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। দিলীপ দেবনাথ, রুমা দাসদের আশঙ্কা, ‘‘এমন হামলার পরে আমাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতিই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।’’