বাঁ দিকে, আসানসোলে কার্নিভালের জন্য জিটি রোড গর্ত করে খুঁটি পোঁতা হয়েছিল। এখনও খুঁটিগুলি রয়েছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ডান দিকে, রাস্তায় পড়ে রয়েছে পেরেক। রানিগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। পাঁচ দিন আগে শেষ হয়েছে আসানসোলের কার্নিভালও। কিন্তু যান নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তার মাঝে গর্ত করে পোঁতা খুঁটি এখনও অনেক জায়গায় রয়েছে। আবার খুঁটি তোলা হলেও, ভরাট করা হয়নি গর্তগুলি। এ দিকে, মণ্ডপের কাঠামো খুলে নেওয়া হলেও, পেরেক-সহ থার্মোকল পড়ে রয়েছে নানা জায়গাতেই। এর জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
২৬ অক্টোবর আসানসোলে এ বার প্রথম কার্নিভাল আয়োজিত হয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণের জন্য ভগৎ সিংহ মোড় থেকে রবীন্দ্রভবন পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে খুঁটি পুঁতে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছিল। বার্নপুর রোডের কিছুটা অংশেও একই ব্যবস্থা করা হয়। শহরবাসী জানান, রাতে ওই খুঁটিগুলি নজরে আসে না। বিশেষ করে স্কুটার ও মোটরবাইক আরোহীরা দুর্ঘটনায় পড়ছেন। গর্তে পড়ে জখম হচ্ছেন পথচারীরাও। সোমবার দুপুরে বিএনআর মোড়ে বাস থেকে নেমে গর্তে পড়ে যান চন্দন দাশগুপ্ত নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “বাসস্টপের সামনের ওই গর্তগুলি দ্রুত ভরাট করা উচিত।” বাস চালক প্রদীপ ঠাকুর বলেন, “খুঁটি না তোলায় রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। যানজট হচ্ছে।”
জিটি রোডের এই অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর অভিযোগ, এমনিতে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের অনেক রাস্তা এখনও সংস্কার হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র কয়েক ঘণ্টার উৎসব পালন করতে গিয়ে ভাল রাস্তা খুঁড়ে শিল্পাঞ্চলবাসীর দুর্ভোগ বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, “পূর্ত দফতরের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” দফতরের এগ্জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রূপেশ বারুই বলেন, “খুঁটিগুলি তুলে গর্ত ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব জিটি রোডকে আগের অবস্থায় ফেরানো হবে।”
রানিগঞ্জ শহরবাসীরও অভিযোগ, রাস্তার পাশে, মাঠে পেরেক পড়ে থাকায় ও গর্ত ভরাট না করায় সমস্যা হচ্ছে। টোটো চালক সোমনাথ নায়েক, দীপক মালাকারেরা জানান, চাকায় পেরেক আটকে যাচ্ছে। চাকা ফেটেও গিয়েছে অনেক বার। রানিগঞ্জ রেল মাঠে খেলাধুলো করেন একটি ক্লাবের সদস্যেরা। ক্লাবের এক কর্মকর্তার দাবি, প্রতি বছর মণ্ডপ খোলার পরে, তাঁরাই মাঠ পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করেন। পুজো কমিটির তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। রেল মাঠ পুজো কমিটির সভাপতি অরুণকুমার শর্মা অবশ্য বলেন, “মাঠ পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।” সিহারসোল রাজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুজো হয়। সেখানেও একই অবস্থা। তবে প্রধান শিক্ষক তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, স্কুল চালু হওয়ার আগে পুজো কমিটি মাঠ পরিষ্কার
করে দেয়।
এ বিষয়ে আসানসোল পুরসভার অধ্যক্ষ অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রতিটি পুজো কমিটির দায়িত্ব, মণ্ডপ খোলার সময়ে জায়গাটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া। তা না করার অভিযোগ পেলে পুরসভা
ব্যবস্থা নেবে।