বিজেপি নেতা কৃষ্ণপ্রসাদ নিজস্ব চিত্র
যাত্রা মাত্র ৬ মাসের। রাজনৈতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস নিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতা কৃষ্ণপ্রসাদ। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তবে কৃষ্ণর দাবি, যা ভেবে তিনি রাজনীতিতে গিয়েছিলেন, তা মোটেই হচ্ছিল না। আর সেই কারণে সন্ন্যাস।
তিনি কী ভেবেছিলেন? জবাবে কৃষ্ণ বলেন, ‘‘সমাজসেবামূলক কাজ রাজনৈতিক মঞ্চে না গিয়ে ঠিকভাবে করা যাচ্ছিল না। কারণ সবার কাছে সেবামূলক ইচ্ছাপূরণ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই এক বড় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজনৈতিক সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুরো উল্টো হল। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়া শুরু হল। পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। আগের বছর যে ভাবে লকডাউনের সময় শিল্পাঞ্চলের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, সে ভাবে দাঁড়াতে পারছি না।’’
পেশায় ব্যবসায়ী কৃষ্ণ আসানসোলের কল্লার বাসিন্দা। তিনি আগে ‘তৃণমূল ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন। এলাকায় সমাজসেবী হিসাবে তাঁর পরিচিতি। লকডাউন পর্বে উঠে বার বার শিরোনামে আসে তাঁর নাম। সে সময় আসানসোলে ভিন্ন ‘অবতারে’ দেখা যায় কৃষ্ণকে। একাধিক শিবিরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে খাবার, আনাজ, শাড়ি, কম্বল ইত্যাদি বিলিবণ্টন করেন তিনি। আসানসোলবাসীর একাংশের বক্তব্য, লকডাউনের সময় ‘দানবীর’ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কৃষ্ণকে। লকডাউনের সময় কৃষ্ণ গরিব, অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়াও গরিব ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া, গরিবের ঘর মেরামত করে দেওয়া, গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের বইপত্র দেওয়া বা খেলাধুলোর সরঞ্জাম দিয়েছেন কৃষ্ণ। দল গঠন করে সরকারি, বেসরকারি অফিস, মন্দির, মসজিদ ইত্যাদি স্যানিটাইজ করিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফ-এর প্রচারে রাস্তাতেও নামেন তিনি।
কিন্তু, মাস ছয়েক আগে রাজনীতিতে নামার পরই সমাজসেবামূলক কাজ ঠিক মতো করতে পারছিলেন না। তাই তিনি আপাতত রাজনৈতিক জীবন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।