বেআইনি বালি খাদান চিহ্নিত করে ই-টেন্ডার

বেআইনি বালি খাদানগুলিকে চিহ্নিত করে ই-টেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব বিশ্বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:১২
Share:

বেআইনি বালি খাদানগুলিকে চিহ্নিত করে ই-টেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব বিশ্বাস।

Advertisement

শুক্রবার বর্ধমান জেলা পরিষদের ভবনে বন ও ভূমি স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে হাজির ছিলেন প্রণববাবু। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, দামোদর, অজয় ও গন্ধেশ্বরী নদীর যে সব জায়গায় বেআইনি বালি খাদান রয়েছে, সেগুলিকেও বৈধতা দেওয়া হবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “বেআইনি বালির কারবার বন্ধ করার জন্যই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও আদায় হবে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে গলসি থানা ১১টি বালিবোঝাই ট্রাক আটক করে। ওই সব ট্রাক চালকের কাছ থেকে পাওয়া চালানগুলি পরীক্ষার জন্য বিএলএলআরওদের কাছে পাঠিয়েছিলেন গলসির ওসি রাকেশ সিংহ। বিএলএলআরও চিঠি দিয়ে জানান, ওই চালানগুলি জাল। ওই সব খাদানের কোনও অনুমোদন ভূমি দফতর দেয়নি। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, আউশগ্রাম, হিরাপুর সহ বিভিন্ন জায়গাতে বেআইনি বালি খাদান রয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, জেলায় ১৮৯টি বালি খাদান দীর্ঘমেয়াদি ইজারায় দেওয়া ছিল। কেন্দ্রীয় পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র নিয়ে ৪১টি বালির খাদান চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। আরও ১২৯টি খাদান চালুর জন্য ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন নিয়মে বালি খাদান অনুমোদন দেওয়ার পর থেকে ১৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে সরকার। প্রণববাবু বলেন, “এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বালির খাদান রয়েছে এমন জায়গাগুলিকেও বৈধ করার জন্য প্রক্রিয়া নেওয়া হবে। সে জন্য ওই সব খাদানে গিয়ে ব্লক স্তরের আধিকারিকরা বিস্তারিত নথি সংগ্রহ করে রিপোর্ট দেবেন।” বালি খাদান চিহ্নিতকরণের জন্য মার্চ মাস পর্যন্ত ব্লক ভূমি ও ভবমি সংস্কার আধিকারিকদের গাড়ির ব্যবস্থা জেলা পরিষদ করে দেবে বলেও ঠিক হয়েছে। প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বেআইনি বালির কারবারের রমরমা কিছুটা হলেও বন্ধ হবে। পাশাপাশি নির্মাণ শিল্পের সমস্যাও অনেকটা কেটে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement