সরানো হল এমবিএ-র বিভাগীয় প্রধানকে

গত ৫ জুলাই সন্ধ্যায় এমবিএ বিভাগের একদল শিক্ষক উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানান, গৌতমবাবু ‘আচমকা’ প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান তন্ময় দাশগুপ্তের হাত কামড়ে দেন। ছাড়াতে গেলে আরও এক শিক্ষক জখম হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ০২:৩০
Share:

সরানো বল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ-র প্রধানকে।

শিক্ষকদের মধ্যে ‘হাতাহাতি’র ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি (ইসি) এমবিএ-র বিভাগীয় প্রধান গৌতম মিত্রকে সরিয়ে দিল। নতুন বিভাগীয় প্রধান ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ডিন (কলা) রমেন সরকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার থেকে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেবেন।

Advertisement

গত ৫ জুলাই সন্ধ্যায় এমবিএ বিভাগের একদল শিক্ষক উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানান, গৌতমবাবু ‘আচমকা’ প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান তন্ময় দাশগুপ্তের হাত কামড়ে দেন। ছাড়াতে গেলে আরও এক শিক্ষক জখম হন। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ডিন-সহ তিন জনের একটি কমিটি করে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা। শুক্রবার ইসি-বৈঠকে ওই রিপোর্ট খোলা হয়। ইসি সূত্রে জানা যায়, রিপোর্টে দুই শিক্ষককেই দোষারোপ করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা এমবিএ পড়ুয়া থেকে শিক্ষক সবার সঙ্গেই কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গৌতমবাবু আচমকা কাউকে কামড়াননি। তাঁকে উক্ত্যক্ত করা হয়েছিল। তা নিয়ে বচসা হলে তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এর ফলে গৌতমবাবুর শ্বাসরোধ হয়ে পড়লে নিজেকে বাঁচাতেই তিনি হাত কামড়ে ধরেন। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ৫ জুলাই সকালে। এক ছাত্রের চাকরির বিষয়ে ই-মেল করছিলেন বিভাগীয় প্রধান। সেই সময়ে কয়েক জন সহকর্মী তাঁর কাছে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। সেই সূত্রে ঘটনাটি ঘটে। রিপোর্টে গৌতমবাবুকে ছাত্রদরদী শিক্ষক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement