এ পথেই চলে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র।
এই সেতু দিয়েই আউশগ্রামের রাঙাখুলা, তিলং, শ্রীচন্দ্রপুর-সহ বিভিন্ন গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বুদবুদের। কিন্তু সেই সেতুরই একাংশে দেখা গিয়েছে ফাটল। বাসিন্দাদের দাবি, এর জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।
আউশগ্রাম ২ ব্লকের রাঙাখুলা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুনুর নদী। আউশগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, দেবশালা, ঝিরিরা, বুদবুদ, মানকর যেতে গেলে এই নদীটি পার করতে হয়। বর্ষায় নদীতে জল বেড়ে গেলে এক সময় ঘুরপথে যাতায়ত করতে হতো বলে জানান বাসিন্দারা। সমস্যার সমাধান হয় ২০০৩-এ। জেলা পরিষদের উদ্যোগে কুনুর নদীর উপরে তৈরি হয় সেতুর। মানকর গ্রামীণ হাসপাতাল, জামতাড়া ব্লক হাসপাতাল, মানকর কলেজ-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেতে গেলে এই সেতুটিই প্রধান ভরসা।
বাসিন্দারা জানান, মাস তিনেক আগে সেতুর উপরের রাস্তার একাংশে আচমকা ফাটল দেখা যায়। ফাটল বাড়তে বাড়তে তৈরি হয়েছে রাস্তাজোড়া খন্দ। এরপর থেকেই ওই সেতুটি দিয়ে বড় গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক বাসিন্দা জানান, সেতুটির এখন অবস্থা যে ট্রাক্টর গেলেও বাড়তি সতর্কতা নিতে হয়। এই অবস্থায় লরি-সহ বিভিন্ন বড় গাড়িগুলিকে কাঁকসার বেলডাঙা হয়ে ঘুরপথে পানাগড়-মোরগ্রাম রাজ্য সড়কে উঠতে হয়।
বেহাল সেতুর কথা স্বীকার করে নিয়েই দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে সেতুর আংশিক সারাই হয়েছে। কিন্তু তা বেশিদিন টিকবে না। সমস্যার কথা জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে।’’ জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে।