Bridge collapse

ভাঙল অস্থায়ী সেতু, গাড়ি থেকে নেমে পারাপার

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ শহরে ‘রাজারবাঁধ’ নামে প্রায় ১০০ একরের বেশি আয়তনের একটি জলাশয় আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৯
Share:

ভেঙে যাওয়া অস্থায়ী সেতু। নিজস্ব চিত্র।

ফের ভেঙে গেল বল্লভপুর পঞ্চায়েতের বেলুনিয়া ও নূপুর গ্রামের মাঝামাঝি থাকা অস্থায়ী সেতু। বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ শহরে ‘রাজারবাঁধ’ নামে প্রায় ১০০ একরের বেশি আয়তনের একটি জলাশয় আছে। তাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের জল এসে মেশে। এই জলাশয়ের জল নিষ্কাশনের জন্য একটি নর্দমা আছে। যা দামোদরে গিয়ে মিশেছে। এটি বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকায় সেচনালা হিসেবেও পরিচিত। এর উপরে বেলুনিয়ার কাছে একটি সেতু আছে। ওই সেতুর সমস্ত পিলার‌ ভেঙে গিয়েছে। তাতে সেতুটি বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস আগে ডব্লিউবিএসআরডিএ সেটি বিপজ্জনক ঘোষণা করে তার উপর দিয়ে চলাচল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বাসিন্দারা জানান, এর পরে তার পাশে নর্দমার উপর মাটি ও হিউম পাইপ বসিয়ে চলাচলের জন্য অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়েছে। চার মাস আগের বর্ষার জেরে ওই অস্থায়ী সেতুর মাটি বসে যাওয়ায় একটি বিয়েবাড়ির বাস আটকে গিয়েছিল। এর পর ডব্লিউবিএসআরডিএ-এর পক্ষ থেকে ওই অস্থায়ী সেতুটি সংস্কার করা হয়েছিল। তার উপর দিয়েই বাস-সহ অন্য যানবাহন চলাচল করছিল। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, ওই অস্থায়ী সেতুটি আবার ভেঙে গিয়েছে। টোটোচালক বিক্রম গোপ জানান, এই পরিস্থিতিতে বিপদজ্জনক স্থায়ী সেতুর দু’দিকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার পর খালি অবস্থায় টোটো, অটো, গাড়ি এবং হেঁটে যাত্রীরা বিপজ্জনক সেতুটি পারাপার করছেন। রোগী থাকলে অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। কারণ, কোনও চালক তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন না। তাকেও কার্যত হেঁটে পার হতে হচ্ছে। বাসিন্দাদের দাবি, আপাতত অস্থায়ী সেতুটিকে মজবুত করা হোক। না হলে হেঁটে ও খালি গাড়ি নিয়ে পারাপারও বিপজ্জনক
হয়ে যাবে।

Advertisement

এ দিন ঘটনাস্থলে যান ডব্লিউবিএসআরডিএ-এর জেলার এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সব্যসাচী ওঝা, বল্লভপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিধান মণ্ডল। সব্যসাচী জানান, স্থায়ী সেতুটি ৪০ ফুট লম্বা ও ১৮ ফুট চওড়া করা হবে। সে জন্য দরপত্র ডাকাও হয়েছে। তবে সে কাজ শুরু হতে দেরি হবে। তার আগে জল কমলেই অস্থায়ী সেতুটিকে কংক্রিটের তৈরি করা হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement